গগনে কালো ঘনঘটা মেঘ
জমে ছিলো পশ্চিমের কোণে,
বালকেরা করেছিলো খেলা,
মাঠের পূর্বের এক কোণে।
হঠাৎ হলো দেখা,সে বেলা
মোর কৃষ্ণকলির সাথে,
যাকে আমি দেখেছি স্বপ্নেরও মাঝে।
যার কালো হরিণ-চোখ
দেখে হয়েছিলাম আত্মহারা।
ওগো,কে তুমি কৃষ্ণকলি?
কোথা থেকে এসেছো তুমি?
ওগো তুমি,তুমি মোর স্বপ্নের রাণী।
কোথা থেকে এসেছো তুমি?
কোথায় যাবে তুমি?
একটি বার বলে যাও মোরে তুমি
কোন গাঁয়ে তোমার বাড়ি?
ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে,
মোরে দেখে লজ্জার বশে
ঘোমটা টেনে ঢেকে নিলো,
তাঁর আপাদ মস্তকে।


ওগো,লোকে বলে তুমি কালো
তা যতই হোও কালো,
তাতে মোর কি আসে যায়?
তোমার কালো হরিণ-চোখ
দেখে,আমি বিবোল।
ঘন মেঘে আঁধার হল চারিদিক
পাখিরা ফিরছে নীড়ে,
তারি সাথে ব‍্যস্ত কৃষ্ণকলি চলার পথে।
চলে যাবার পথে ডাকি তাঁকে,
ওগো তুমি একবার ফিরে চাও
মোর পানে।
তুমি বলে যাও মোরে ,
কোন গাঁয়ে তোমার বাড়ি?


তখন আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম একা
মাঠেরও মাঝে,
বারেক বারেক বিদ‍‍্যুৎ চমকাচ্ছে,
শুনা যায় মেঘের গর্জন তবে,
গগনের পানে।
পূবের বাতাস হঠাত্‍‌ এলো ধেয়ে
ঢেউ যে খেলে গেলো,
রোপা-আমন ধানের ক্ষেতে,
এই ভারাক্রান্ত গোধূলি বেলা।
তাঁকিয়ে ছিলাম আমি
কৃষ্ণকলির চলে যাবার পথে,
একবারও দেখলো না ফিরে।
আর তো দেখা হলো না তাঁরই সাথে
কথা যে হলো না বলা আর
মোর কৃষ্ণকলির সাথে।
দেখা যে হলো না আর,
কাজল কালো হরিণ-চোখ দুটোকে।
এখনও যে খুঁজি তাঁরে আমি
হাজারও লোকের মাঝে,
হারিয়ে যে গেলো চিরতরে
মোর স্বপ্নের কৃষ্ণকলি তবে।