ক্লান্ত দেহে একা বসে আছি,আমি নিরালা
এই যে গোধূলির সাজে সজ্জায়িত সন্ধ্যা।
মনের কোনে ভেসে উঠে ছোট্ট এক চিন্তা
যে চিন্তার মাঝে ডুবে থাকি সদা সর্বদা,
পাই না যে তার কোন কূল-কিনারা।
এই হলো সেই চিন্তা,মানব সৃষ্টির রহস্য
সৃষ্টির এই অপরূপ রহস্যকে নিয়ে,
কত যে আছে কল্পনা কাহিনী বিভিন্ন জাতে।
ভেবেছে সবাই সদা সর্বকালে,ভাবছে সবাই
মানব জাতির এই সৃষ্টির রহস্যকে নিয়ে ।
কোথা থেকে এসেছি আমি কোথায় যাব ফিরে
সবারই তো একই প্রশ্ন,আমারও তবে,
তারই মাঝে দোদুল্যমান জীবন সদা সর্ব কালে।
এক ফোটা জল বিন্দুর সৃজনশীলতা দিয়ে,
যা থেকে সৃষ্টি হয় যে প্রতিটি মানবকুল,সর্বত্রে,
তা যে এক স্বর্গের জল বিন্দু সৃষ্টির মূল মন্ত্র।
কি অপরূপ মানবকুলের সৃজনশীলতা তাতে!
যে দান করেছে এই সুন্দর সৃজনশীলতা
সে তো আমাদেরই মহান বিধাতা।
সবাই তো একই জাতি সদা মানব জাতি,
সবাই তো একই বিধাতার আরাধনা করি,
যতটুকু ভালোবাসা আছে,তা দিয়ে তাকে ডাকি।
কেন এতো বিভক্ত জাতি,সদা সর্বত্র?
জাতের কথা বলে,কেন এতো অরাজকতা?
সমাজ ব্যবস্থায় কেন এতো নিষ্ঠুরতা?
জাত নিয়ে আজ হয় যে বড় বর্বরতা,
বিধাতা যে একজন মানে সবাই সর্বদা।
আজ আমার মনের কোণে জাগে একটা প্রশ্ন ,
একই বিধাতার একই সৃষ্টি জানে সদা সর্বত্র,
তাহলে কেন এতো বিভক্ত?
ডাকুক সবাই যে যার মত করে,আরাধনা করে
বাধা দিব না তাতে কোন দিনও তবে,
নিষেধ করেছে আল্লাহ, রাসুল, সর্বদা তবে।
থাকুক সবাই সর্বদা সুখে সদা সর্বকালে,
এটাই তো মানব ধর্ম,মানব জাতির চির আশা তবে।
তাইতো মনের কোনে ভাবি একা নিরালায়,
এই গোধূলির সাজে সজ্জায়িত সন্ধ্যায়।
আমার কাছে নেই কোন জাত-পাত,সর্বকালে
সবাই তো একই জাত,তা হলো মানবজাত।