হাতটি ধরে কেঁদেছিলে তুমি সর্ব সুখ এঁকে
মনের কথ‍া নয়নের ভাষায় বুঝিয়েছিলে তবে,
অঢেল সুখে আত্বহারা হয়ে রেখেছিলে মাথা
মোর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে ব্যথার সহিত বুকে।


এই বুঝি মরিয়া যাইবো প্রেমের সাগরে ডুবে
ভেবেছি যে হায়,
এই বুঝি মরিব দু'জনে ধুকে ধুকে এ ধরণীতে।
তব তোমায় না দেখিলে মোর হৃদয়ে বয়ে যায়,
সমুদ্র ন‍্যায় জলের জলোচ্ছ্বাস।


তোমার হরিণী নয়ন জোড়ার দৃষ্টি অবলোকন করিয়া নেচে উঠে মোর শূন্য হৃদয়ে উৎফুল্ল মন পাখি,
বুঝেছি,এই বুঝি মোর সর্ব সুখময় প্রেম।


নয়ন জোড়া ভেসে যেত তোমার কান্নার জলে
তাহা দেখিয়া দুঃখের অগুনে জ্বলিত মোর হৃদয়ে,
তোমারই হাসি দেখিয়া মোর হৃদয়ে বহিত স্রোত
হারাতে চাই না তোমায় এপারে ও ওপারের দেশে,
হায়!এই বুঝি সেই প্রেম যা মরিবার।


কতো পথ অতিক্রম করেছি দুজনে ধরিয়া হাত
চোখে চোখ রেখে কেটে যে গেছে কতো রাত,
যুগ যুগ যেন এভাবেই থাকি যত আসুক মহাঘাত।


কতো শত নদীর স্রোত বয়ে যায় মৃত্তিকার হয় ক্ষয়
নদীর জল সাগরে মিশেছে সাগরেই মুক্তি তার,
তেমনি করিয়া চলে গিয়াছো শূন্য করে হৃদয়।
বজ্র কণ্ঠে চিৎকার করেছি তুমি চলে যাবার পর
তবুও তোমায় পাইনি ফিরে নিজ আপন লয়।


দু’হাত শুধু শূন্যে তুলেছি ঈশ্বরের দরবারে
তবুও তোমায় পাইনি কাছে হারিয়েছি চিরতরে।


মোরে লুকিয়ে যাবে কতদুর,দেখা যে হবে আবার
সেই আশায় দিবা কেটে যায় রাত্রির অন্তর ছায়ায়।
যখন তোমায় আবার ফিরে পাবো আমি
শক্ত করে হাতটি ধরে আর যেতে দিব নাহি,
থাকবো তোমার পাশে আজীবন তবি।


তোমারই অপেক্ষায় আজও দাঁড়িয়ে আছি
অপেক্ষা করো আসিতেছি আমি তোমার কাছে,
তব তুমি খুলে রাখো দ্বার গুলো,মোর অপেক্ষাতে।