প্রিয়তমা অর্ধাঙ্গী রাগ করেছে
কথা যে বলবে না আজ মোর সঙ্গে।
অনেকক্ষণ হলো বসে আছি
খাটের এক কোণে,
কোন কথা নেই দু'জনার মাঝে।
নিঃশ্বাস ফেলছি দু'জনে
তাও যে শোনা যায়,
দু'জনার আলাদা দৃষ্টি অন‍্যদিকে।


পুরাতন সব পত্রিকা গুলো আছে পড়ে
টেবিলের এক কোণে।
কোণঠাসা হয়ে বসে আছি
খাটের এক কোণে,
একেবারেই নিঃস্তব্ধতা অবলম্বন করে।
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক যাচ্ছে শোনা
বাড়ির পেছনের বাঁশ বাগান থেকে।
দেওয়ালের ওপাশে
বারান্দায় জ্বলছে বাতি।
পশ্চিমের জানালা দিয়ে
যাচ্ছে দেখা বাঁকানো চাঁদের হাসি।
বাহির থেকে আসছে পায়ের শব্দ
বটতলা হাট থেকে কারা যেন ফিরছে বাড়ি।
দু‘খানি চেয়ার পড়ে আছে
ঘরের এক কোণে,
রাত্রি হয়েছে অনেক বলছে না খেতে।


অর্ধাঙ্গীর খোঁপায় বেলী ফুলের মালা
বহিছে সুরভি দখিনা বাতাসে।
আজ আমার প্রিয়তমা অর্ধাঙ্গী
অভিমান করেছে।
বলছে কথা অভিমানের সুরে সুরে
কি পেয়েছি এ জীবনে তোমার কাছ থেকে?
তারি সাথে সাথে গড়িয়ে পড়ছে নয়ন জোড়ার পানি।
তা দেখিয়া মোর হৃদয়ে
বহিছে সমুদ্র জলের জলোচ্ছ্বাস।


অবশেষে ঠোঁটে হাসি মেখে কথা বলি
পাশে গিয়ে ঘেঁষে বসি,
আলতো করে হাত দুটি ধরি,
কপালে দেই ভালোবাসার চুম্বন এঁকে।
তাতেই অভিমান ভেঙে
লজ্জার সহিত আমার বুকে মুখ লুকিয়ে,
বলে,হয়েছে আর করতে হবে না ডং!
এবার চলো অন্য খেতে রাত্রি হয়েছে অনেক তবে।