পড়ন্ত বিকেলের স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমি একা
একটি প্রশস্তকার মাঠের পশ্চিমের এক কোণে বসা,
গোধূলির সাজে সজ্জায়িত আকাশ পানে তাঁকিয়ে
পড়ন্ত বিকেলের স্নিগ্ধ হাওয়ায় নিজেকে হারিয়ে।


পড়ন্ত বিকেলে নিজের মাঝে নিজেকে খুজছি আমি
ভাবছি আমি এই অপরূপ ধরিত্রীকে নিয়ে।
ধরিত্রী তার আপন মনে করছে খেলা,উৎফুল্ল মনে
প্রকৃতির মাঝে অফুরন্ত ভালোবাসার পরশে।


মাঠের পাশ ঘেঁষে বয়ে গেছে ছোট্ট এক নদী
নাম যে তার কীর্তিনাশা,যেন বহু রূপবতী,
চলে গেছে সে হেলে দোলে বহু দূরে ঐ তেপান্তরে
নদীর ঐ পাশে তে আছে ছোট্ট একটি গ্রাম।


কি অপরূপ!তারই মাঝে সবুজের সমারোহ
সূর্যের স্নিগ্ধ আলো পড়েছে ছোট্ট ঐ গ্রামটিতে।
পাখিরা দল বেঁধে ফিরছে নীড়ে আপন মনে
শোনা যাচ্ছে আজানের ধ্বনী,যাচ্ছে শোনা শঙ্খধ্বনি
নারীরা কলস কাহে করে জল নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি।


মাঠের পূর্ব পাশে,একটু দূরে,ছোট বালকেরা
হৈ হুল্লোড় করে এখনো করছে খেলা।
খেলার ছলে ভুলে গেছে বাড়ি ফেরার কথা
কখন যে সন্ধ্যা হয়েছে তাও যে ভুলা।


হঠাৎ এক বৃদ্ধ লোকের ডাক আসে
এই,সন্ধ্যা হয়েছে এখনো তোরা খেলার মাঠে।
সন্ধ্যা হয়েছে বাবারা বাসায় ফিরে যা
এই বলে চলে গেলো,চলে গেলো বালকেরা।


আমি বসে আছি মাঠের পশ্চিম কোণে,এখনো একা
ছোট ছোট চিন্তা গুলো জেগে উঠে মনের কোণে ।
তারই মাঝে নদীর অববাহিকায় থাকা নৌকা যোগে
মাঝির কন্ঠের ভাটিয়ালি গান আসে কর্ণে।


আমি যেন হারিয়ে যাই ভালোবাসার অন্তরালে
গানের সুরের মাঝে আমারও আপন মনের কোণে।
নিজেকে আমি নিজের মাঝে ফিরে পাই
প্রকৃতির মাঝে আদরের সহিতে হাত বুলিয়ে যাই,
এ যেন,পড়ন্ত বিকেলে নিজেকে ফিরে পাওয়া।