তুমি রাতপ্রহরী পাঞ্জেরী
তুমি ছায়ামানব অটল প্রহরী,
আমার দেখা অবুঝ বালকের বন্ধু
তুমি এক প্রাণবন্ত যুবক।
তোমার মেঘ কালো ঘন চুল
কণ্ঠের পশ্চাদ্ভাগ বেয়ে আছে পড়ে,
তোমার শক্ত পেশী যুগল
আছে মুষ্টিমেয় শক্ত থাবা।
তুমি নীল গগনের রুপালি আলো
তুমি অন্ধকারের প্রদীপ,
তুমি অন্ধকারে জ্বালাও আলো,
তুমি অন্ধের যষ্ঠি,
তুমি শেষ বয়সে বৃদ্ধের অবলম্বন।
তুমি মেঘ হয়ে ভেসে বেড়াও
বারি ঝর অবরত,
তোমার অন্তরের গহিনের অনুভুতি
কেউ কখনো বুঝিতে পারেনি।
বেদনার প্রহরে একাকিত্ব তুমি
সুখের স্পর্শ লেগে আছে তোমার,
প্রতিটি ছোয়ায়।
তুমি থাকোনি কখনো একা
সঙ্গ দিয়েছো সবার।
তুমি ইচ্ছেঘুড়ির মতো
এক দামাল ছেলে,
তুমি দুর্গম পথের কান্ডারী।
ঘুরে বেড়াও এলোমেলো হয়ে
উপকার করো সবার তবে।
ন্যায়ের প্রতি চল তুমি
অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি।
বিপদে-আপদে সবার পাশে থাকো,
বুক ভরা ভালোবাসা দিয়ে,
বিনিময়ে পাওনি কিছু জীবনে।
তুমি তো আমার নয়ন দিয়ে দেখা
এক সুদর্শন ও তেজস্বী যুবক।