প্রাণভরা শ্রাবণ সন্ধ্যায়
আরাম কেদারায় গা এলিয়ে বললাম
এ কাপ কফি দিও,
তুমি তখন সবে কাজ গুটিয়ে বসেছো
শ্রাবনের গান শোনার অপেক্ষায়।


অথবা,


শীত নিয়ন্ত্রিত চার চাকায়
চারটে মিটিং সেরে, ভরা পেটে
বাড়ি ফিরতে বাজলো মাঝ রাত,
তুমি তখন হালকা মনে কি লিখেছিলে আনমনে,
একসাথে রাত ভোজনের অপেক্ষা।


অথবা,


আমি ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিলাম
সাদা চাদরে, পরিশ্রান্ত- ঘুমের দেশে এক নিমেষে।
তুমি হালকা সাড়ে বলে উঠলে-
'আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন
খুঁজি তারে আমি আপনায়'।


------
তখন তুমি নরম মেয়ে,একরাশ আশা
বাস্তবতায় ধাক্কা খেয়ে,নিত্য জলে ভাসা.
চার দশকে জল শুকিয়ে,পাথর হয়ে মন
চললে দূরে সাঙ্গ করে,নিত্য আলাপন.


-----
আজ তাই শ্রাবণ  সন্ধ্যায়
কফি বানিয়ে নিজেই বসি চোখ বুজে
অথবা, ধীর পায়ে সভা সেরে ঘরে ফিরি আনমনে,
অথবা, স্তব্ধতার শীতলতায় কোঁচকানো বিছানায়
সারা রাত কাটাই নিঃশব্দে।


তোমার ঈশ্বর জানেন অপরাধ কার
কোন হিসাব নিকেশে কার পাল্লা ভারী-
বাস্তবতা আর আশার কেন নিদারুন সংঘাত
প্রতিদিন কুরে কুরে খায় দুটো মন
একত্র হয়েও তারা নির্জন দুটি দ্বীপ।


অথবা,


দুই নক্ষত্রর সহস্র যোজন দূরের নিস্তব্ধতা।