হঠাৎ সেদিন -
গড়িয়াহাটের মোড় শোভা করে হাটঁছিস রাসবিহারীর দিকে-
কাঁধে সেই সাদা ঝোলা, এলোমেলো চুল, তাঁতের শাড়ি।
উনিভার্সিটির সময় তখন-
আমি ডাকলাম ' এইইইইইই'।
উল্টো ফুটপাথে , হাত নেড়ে, 'এইইইই'।
গাড়ির ভিড়ে রাস্তা পেরোনোর সুযোগ হলো না।
জানিস----,  চোখের সামনে তুই হারিয়ে গেলি।


আরো একদিন-বছর কুড়ি আগে-হঠাৎ-
ভাবিনি-অফিস ফেরত, ভিক্টোরিয়া টার্মিনার্স এ-
আমি এক নম্বর এ - ট্রেনের শেষ কামরায়,
চলন্ত ট্রেন এ পা দিয়েই ফিরে দেখি, একি?
তুই তিন এ, ফার্স্ট ক্লাসে ।
আমি চিৎকার করলাম- ‘এ ইইইইই’।
লোকে ভাবলো পাগল- তুই ঝাপসা হয়ে গেলি।


আবার- আবার- স্পষ্ট- কোননোউট প্লেস এ
তুই দারুন আভিজাত্যে রেস্তোরায় কাঁচের পাশে-
আমি ভীষণ ভাবে ট্যাক্সি থেকে ডাকলাম ' এই ইইইই ',
কাঁচের বাইরে আনমনে তুই চোখ ফেরালি-
অর্কিড র পশে সেই দীপ্ত চোখ,
আমি ক্ষণিক মুগ্ধ হলাম-
তারপর- --------আর  --  আর মনে নেই।


হঠাৎ কদিন আগে-
ঝোড়ো হাওয়া আর দমকা বৃষ্টি-
আমি মনের কথা মনের ডাক্তার কে শুনিয়ে
ফিরতি পথে, এক নম্বর গেট এ - যাবো কলেজ স্ট্রিট-
গাড়ির শব্দে পিছন ফিরে দেখি-  এ কে?
চোখে পুরু চশমা-কাচা পাকা চুল - গাড়ি চালিয়ে হুশ করে চলে গেলি-
ধুলোর ঝড় আর বৃষ্টিতে - আমি তখন আধ ভিজে ।


রাতে - সেদিন হঠাৎ-
আমার এই ছোট্ট চারদেয়ালে-গ্রিল এর ওপারে-
হাত দুটি বাড়িয়ে বলছিস-‘ আয়,,,,,,কাছে  আয়’-
তোর দু চোখ ভরা জল- আমি গেলাম ধীর পায়ে-
বললাম ' কাঁদছিস'? গালে হাত রাখতে যাবো- এমন সময়--
কে যেন বলে উঠলো ' পাগোলের কারবার, ঘুমও দেখি '!
আমার সময়- দিলোনা তোকে ছুঁতে।


এই,------ তুই এমনি আসিস --হঠাৎ -
এমনি -----এমনি------হঠাৎ।