মৃত্যূ এসে যবনীকা টেনে দিয়েছে
অন্ধকার হয়ে গেছে মঞ্চ
তবে আর দর্শকেরা বসে থেকে কী করবেন..?
আশ্চর্য্য হচ্ছেন..?
এ যুগে আশ্চর্য্য কথাটাই তো আশ্চর্য্যের
দেহের মৃত্যুটাই কী মুক্তি ?
নিজের মধ্যে শোক জিইয়ে রাখাটা কী মৃত্যূ নয়..??
মরে যাওয়া অনুভূতি গুলো অহরহ দরজায় কড়া নাড়ে
তবু কত্তর্ব্যগুলো কী করুনা করে...??
সন্মান-অসন্মানের বোধ যখন রূঢ় হয়ে যায়
তখনও কী মানুষ হৃদয়বৃত্তির দাসত্ত্বে আবদ্ধ রয়...??
মাথা হেট হবার সীমারেখাটা কে কবে নির্দিস্ট রেখেছিল...??
কেউ জানে কী আত্মসন্মানের আইন কার গড়া...?
মৃত্যূ যতই আসুক ,শরীরকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়.
জীবনকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার মধ্যেই যে মুক্তি..
দৃশ্যপট বদলে যায় কালের গতিতে
কত অভ্যাসের কত তরী তো কূলে এসে ডুবছে
কত গন্তব্য একলা পার হতে হয়
কত প্রেম জ্বলতে থাকে জ্বলন্ত চিতায়
তবু শোক জিইয়ে রাখা, অশ্রুপাত করা হাস্যকর
এ যুগে আশ্চর্য হওয়া যে আশ্চর্যকর...!!