হৃদয়টা বার বারই উপড়ে যায়
আলগা শেকড় রেইন গাছের মতন,
আমার সাধ হয়, শেষ বিদায়ের আগে
চাঁদের আলোয় রেললাইনের ধার দিয়ে
হেটে চলে যাব নভোনীলক্ত দিগন্তে...


আমি নির্জন হ'তে চাই, সুমাত্রিক
চান্দ্রায়ণিক প্রচ্ছায়ার সমান,
তোমার মনে হবে, এ প্রেম
পৃথিবীর বাইরে থেকে এসেই
আবার সে মহাকাশের মহাশূন্যে
মিলিয়ে যায় অনিবার্যভাবে প্রগতিশীল...


আমি নির্জন মহাশূন্য, তুমি পাথর নীহারিকা
আমাকে তোমার প্রাগৈতিহাসিক যাদুঘরে,
জীবন্মৃত ফসিল করে রেখে চলে যাও
তোমার স্মৃতির পোশাক তবু ভালো...


আমি জানি না, তুমি আছো?
কোনদিন কী ছিলে? সুনিশ্চিত
ভবিষ্যতে তুমি নেই, প্রচ্ছায়া নেই
স্মৃতির পোষাক-ভার, রংধনুর আঁচল
এই তবে শূন্যতলের একমাত্র ক্ষেত্রফল...


যার কিছু নেই, কেউ নেই, তার যাবজ্জীবন
মহাশূন্যে আর গ্রহ গ্রহান্তরে কেটে যাবে,
তবে এমনি হোক, ফুলেল কোমলতায়
ঘাতক মৃত্তিকা তার জঠরে ঠাই দিক
তোমার প্রেমের অনন্ত ফসিল...


আমার আলো-ভূবনে ভেসে আসুক অন্ধকার
আমি মুক্তপ্রাণ হব, যদিও রুদ্ধ থাকবে দ্বার...


[সংক্ষেপিত]


__________________________
"সামান্য অতিমাত্রিক"
অতিজাগতিক কাব্যসমগ্র


উত্তরা ঢাকা বাংলাদেশ
২৯/অক্টোবর/২০১৭/রবিবার