মাঝে মাঝে প্রার্থনা করি,
দীর্ঘ হোক দুপুর বেলার নির্লিপ্ত শুয়ে থাকা,
কর্মময় হোক যান্ত্রিক ব্যস্ততা, উপভোগ্য হোক অলসতা।


মনের আশ মিটিয়ে দেখি, চিক্ চিক্ করা নারকেল পাতা,
তিন চারটে কাকের সাঁই সাঁই উড়ে যাওয়া;
রাস্তার ইলেক্ট্রিক ওয়্যারের উপর শালিক পাখি,
ডাস্টবিনে নেড়ি কুকুরের নিয়মিত খোঁজাখুঁজি।


রাস্তার পাশে রিকশাওয়ালার পরম তৃপ্তির চা-পান খাওয়া,
পুকুরের ওয়াটার লেভেলে মাছের কঁপাৎ কঁপাৎ,
পুকুর পাড়ে গাছের ডালে রুপসী মাছরাঁঙার অপেক্ষা,
ফেরীওয়ালার বানিজ্য বিজ্ঞাপণ এবং চামড়ার ডুগডুগী।


খোলা জানালা দিয়ে, সতর্ক চোখে বেড়ালের রান্নাঘরে ঢোকা;
ফ্রাইং প্যানে মাছের ছ্যাঁত ছ্যাঁত ভাঁজি, বাগাড় দেওয়া ডালের আক্রোষ,
স্ট্রৈইট পিচের রাস্তায় জল ছোঁপ্ ছোঁপ মরিচিকা, ট্রাক হর্ন,
শেষ প্যাঁচ্ অবধি খোলা ট্যাপের ফোর্স, প্রেশার কুকারের হুইসেল;
এ সমস্ত দৃশ্যের এ্যানিমেশ্যন চলে মনের মনিটরে!


এমন রৌদ্রোজ্জ্বল যশোর আমি!; তা তো হবোই!
মহাদেশীয় আবর্জনা আমার বুকে, সুউচ্চ ও পললবক্ষা,
জিওলজিক্যাল স্মৃতি না হাতড়ে দুচোখ ভরে দুপুর দেখা!
অনেক অনেক গুলো দুপুরের রঙীন চলচ্চিত্র।


সোনা দুপুর, চির লক্ষী দুপুর,
পার্থিবতায় নির্মিলীণ ও নির্নিমেষ দুপুর।
স্বোচ্ছাষ আর নির্বারণ নৃত্যের দুপুর,
প্রতিটি দুপুর-দৃশ্য সহস্র বিন্যাসে উপস্থাপিত,
দারুন দুপুর, সুনিপুণ অথচ পূর্ব প্রস্তুতিহীন কুশীলব;
মায়াবী দুপুর, প্রকৃতি মঞ্চের আলোকোজ্জ্বল সভা,
স্ফটিক স্বচ্ছ দুপুর, মন তৃপ্ত, চোখ তৃপ্ততম!


সবচেয়ে ব্যস্ত সময়েই তোমাকে আমি কত দেখেছি,
আসল মুগ্ধতা আমার সোনালী দুপুর, স্টেইনলেস দুপুর
মাঝে মাঝে খুব প্রার্থনা করি,
হে জন্মশহর, শুধু দুপুরবেলাটা আমাকে দাও,
সন্ধ্যা, বিকেল, রাত কিংবা সকাল চাই না।
তোমার কাছে বার বার ফিরে আসি,
শুধু এই চিরচেনা দুপুর দেখবো বলে...