"নিরন্তর এই পৃথিবীর পথে হেটে চলা, ঠিকানাবিহীন....
আত্মীয়তার হাস্যকর বন্ধন, ক্ষনিকের প্রেম...
স্বার্থ-কার্পণ্যতাকে পূঁজি করে আগামীদিন...
বড় নিষ্ঠুর, বড় বৈরী এ জীবন... ...
কতদিনই বা বাঁচে একজন মানুষ, সততায়? বিশুদ্ধ রক্তে?''


কয়েকটা সমুদ্র আর মরুভুমি ছাড়া কি আছে এই বারাঙ্গনার বুকে?
দেখাশুনার প্রাচীর পেরিয়ে যেতে চায় আজ অবাধ্য স্নায়ূ…
চোখের সামনের সাংঘর্ষিক পৃথিবী,
চোখ, মগজ আর মনন কে আঘাত করে যায় বারে বার...
তাই, আশা করি,
মহাপ্রলয়ে দারুনভাবে এ পৃথিবী কম্পিত হোক,
যদি কাহিনীগুলো সত্যি হয়ে থাকে(!?!)
সেই সাথে দৈববাণীর ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছণীয়।
মানবজাতির উদ্দেশ্যে মহাপ্রভূ কিছু বলবেন, কিছু বাধিয়ে রাখবেন
সেটা হবে না … … হোক সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপণ!


পৃথিবীর মানুষ যখন মানুষ হত্যার উৎসবে
রক্ত শারাব্ পানে উন্মত্ত,
একই মায়ের সন্তান, জীবনের হুমকি,
হাতের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়ে সোনালী অতীত!
মৃত্যু! তুমি আমার প্রতি মুহূর্তের স্মৃতি, বিদ্রোহ ও প্রেম...
নুতন করে স্মরণ করতে শেখাও!
মৃত্যু, কত পুরোনো, প্রাকৃতিক অথচ কত নুতন, সার্বজনীন;
নিরপরাধ মানুষ হত্যায় যদি শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়(!)
মানুষ এভাবেই যদি পশু হবে,
ধর্মগ্রন্থ গুলোর কোনো প্রয়োজন আছে কি?
কেউ অন্যায় করছে, কেউ অন্যায় সহ্য করছে,
দু প্রকার মানবসন্তানই একই গোত্রের, পাপী গোত্র।
মেমেন্তো মোরি, সবাইকে একদিন মরতেই হবে,
অনিবার্য এ সত্যি!


পাপী অথবা পূণ্যবান কেউই এ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকে না।
পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করে তুলতে,
চেষ্টা মহামানব সন্তানেরা কম করেনি;


তবুও……ইম্মরট্যাল লর্ড নির্বিকারচিত্তে তাঁর পুতুল খেলা জারি রেখেছেন।


১১/অক্টোবর/২০১০, ০৫:২২