ওদের চার বোনের নাম…
বুদ্ধি, বিচার, অভিজ্ঞতা ও সজ্ঞা
জ্ঞানদেবীর চার চোখের মনি;


বুদ্ধি মেয়েটি জানে
বিশুদ্ধ বুদ্ধিই হলো সার্বিক ও নিশ্চিত জ্ঞানের উৎস...


স্ব-ইন্দ্রিয় দ্বারাই সে বুঝতে পারে
এ জ্ঞান পরিবর্তনশীল,
‘এ জ্ঞান, এ বাহ্য জ্ঞান সীমাবদ্ধ,
স্বক্রিয় শুধু আত্মা!


অনেকগুলোর মধ্যে এর একটি গুন – বুদ্ধি
সূর্য, ভিসুভিয়াস এবং লালন কি জানে
এ জ্ঞান অসঠিক, অসঙ্গত এবং অযথার্থ?


জ্ঞানের প্রকৃত রূপ কি আদৌ দেখা সম্ভব, চর্মচক্ষু্তে, স্পর্শে!
প্রাসাদ, মহাসমুদ্র, পর্বত
এ সবের ধারণা সাধারণ মানুষের নিকট প্রাঞ্জল নয়...


মনের বিভিন্ন ধারণার যোগ বিয়োগ গুন ভাগ থেকে
পঙ্খীরাজ ঘোড়া, আলাদিনের প্রদীপ,
সোনার হরিণ অথবা স্বপ্নলোকের চাবি
ইত্যাদির দুরাশাও তার মনে আসে না...


তার বদলে তার মনে অসাধারণ সব ধারণা ধাক্কা খায়
সময়ের অসীমতা, শক্তির নিত্যতা, পরম আত্মা
সূর্যোদয়াস্ত, দেহ-মাটি, একতারা...


এগুলো সুস্পষ্ট ও প্রাঞ্জল বলেই
স্ব্তঃসিদ্ধ এগুলো তার কাছে,
'স্পুন-রিভার অ্যানথোলোজি'র মতো সত্য-কথণ!


মিথ্যাচরণ মিশ্রিত নয়, একেবারে নির্ভেজাল জলের মত তরল।
নোংরা পুরোনো খবরের কাগজে
সে আলুর চপ খেতে খেতে পড়ে,


“কোনো সত্যই সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ নয়, হলে সে সত্যের কোনো অস্তিত্বই থাকেনা”
উপরে নীচে সে কয়েকবার মাথা নাড়ে।


অভিজ্ঞতা অন্য দুবোনের সাথে বুদ্ধিদিদির কথা শুনছিলো,
সে বলে বসলো,


“তুমি দাও আকার, আমি দিই উপাদান,
সময়বিহীন সাধনার তো কোনো মূল্যই নেই”


বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিবিহীন লালনকে বুকের মধ্যে লালন করো;
তুমিই হবে নিরবিচ্ছিন্ন অন্ধকার সমুদ্রে আলোক-স্তম্ভ,
পথহারা নাবিক তোমার উপর চোখ রাখবেই!


অভিজ্ঞতার সংলাপ শেষ হতেই, বিচার ও সজ্ঞার চোখ চাওয়া-চাওয়ি;
সাদা নীলাভ সুতীব্র আলোয় চারদিক থৈ থৈ করতে লাগলো…


সময় সময় এমন অবস্থাও ঘটে পৃথিবীতে,
হয় সুস্থীর থাকে অথবা অদর্শনযোগ্য গতিতে ছুটতে থাকে সব ধরণের কাল, ভবিষ্যত-বর্তমান-অতীত...


সময় আসে মহাজগতের সীমানা প্রাচীর ছোঁয়ার, যেখানে বিলীন হয় সময়, সমর্পিত হয় কারো কাছে…


উত্তরীয়ঃ


স্বাভিমান আত্মসমর্পনের প্রাচীরভেদী আন্তরিক মনোবাঞ্ছা পূরণের অভিপ্রায়ে প্রায়শঃই মানব-সন্তান প্রিয়তিপ্রিয়জনের অন্তরাত্মায় প্রতিঘাত করে থাকে, জানিনে এতে কোন্‌ কি ফলাফল আবির্ভূত হয়, চেষ্টিত জ্ঞানেও সুরুচি হয় না, তবে কিভাবে কোথায় সেই পরমাকাঙ্খিত প্রভূর দরশন লব্ধ হবে এই ভাবনায় কালাতিক্রান্ত হতে থাকে... মহাপ্রভূ, তুমি কখন দেবে তোমার অজানিত, চিরকালীন অভূতপূর্ব গৃহাশ্রয়, তবেই সকল মনোদৈহিক কাল-যন্ত্রণার অবসান হতে পারতো...!