যে দন্ডেই দন্ডিত করুন না কেন,
মাথা পেতে নিতে কোনো দ্বিধা নেই;
স্বর্গের লোভ আমি কোনোদিন করিনি,
শুধুমাত্র সেই অপার প্রেমময় ঈশ্বরকে
এক নজর দেখার খুব ইচ্ছে হয় মনে মনে !


সাধু ফকিরের কাছে গিয়ে কবি পা জড়িয়ে ধরে,
নতশির হয় বার বার, "আমাকে আশীর্বাদ করো";
ফকিরের দৃষ্টি অনন্তে, "কী অভিপ্রায়?"


কবি ভাবিত ও পার্থিব দৌর্ব্বল্যতাড়িত...
গভীরতম প্রিয় কিছু বোধ, ভাবনার দ্বার ক'রে প্রতিরোধ
নির্নিমেষ চেয়ে শূণ্যতায়, আপনার মাঝে আপনি হারায়,
আশা'র বরষা শুকায় হঠাৎ, কোথায় যেন চলে যায় অকস্মাৎ!


"আমি কবি, আমাকে আশীর্বাণী দাও,
শব্দমুখর হোক আমার জগৎ"


সাধুর সমাপণী প্রশ্ন, "শব্দ না সত্য?"
কবি'র কাছে যথোপযুক্ত শব্দের চেয়ে
আর আকাঙ্খিত কী হতে পারে?
কবি স্থীরচিত্ত, "শব্দ…"


সাধু হাতের শূন্য জলঘটি আর থালা
হন্টন ছড়িটি দিয়ে বেদম প্রহার শুরু করলেন,
"পেয়েছিস শব্দ !?! এখন, যা ভাগ এখান থেকে!"


সত্য হারিয়ে গেছে, ভাইসব...!
একদিন খুব ভেবেছি, প্রাণের পরে প্রাণ সঁপে
আমায় যদিবা কেউ কোন কাল-সন্ধ্যায় মন্ত্রের মত জঁপে... দূরাশা...!


তা বলে আমি এতটুকুও নৈরাশ্ববাদী নই,
যেটুকু আলো বেঁচে-বর্তে আছে, পরার্থপরতার জোরে,
তাই দিয়ে কিছুটা এলাকা আলোকিত করতে পারলেই
আমি আবার উচ্ছসিত হয়ে উঠি... আশার পরশে বাঁচি...