কালদেবীর বীর-পুত্রী ওগো
শুনছো কি শেষের সুর কোনো?


আছি অনুদিন
কান পেতে ক্ষীণ,
মহাপ্রয়াণের ঘন্টা ধ্বনি শুনবো, প্রিয়।


বুকে বহু আশা
তাই স্রোতে ভাসা;
পৃথিবীর ধুলিকনা,
মনে হয় চিরচেনা
ভুল করে তাই এ মাটিতে বাধি বাসা।।


ভালোবাসা যতটুকু ওপার হতে চুরি করা,
মহামায়া আর দরদে ভরা,
প্রিয় জেনে সবটুকু ঢেলেছি তোমাতে
রয়ো সুখে তাই নিয়ে সাথে,
কালের সাথী হয়ো - ওগো, প্রিয়তিপরা।।


সুখের দিনের ফুলমালা ভেসে যায় নদী কুলে
সব কুল ভুলে নিয়েছি গো তুলে
হাতে নীল ব্যথা মাখা তুলি;
আঁকবো দুঃখ স্মৃতি,
ব্যথার দোলায় দুলি
বেদনার বসন্ত ভরে যাবে ফুলে ফুলে ।।


ওগো বঁধু, দুদিনের সাথী সহচরী
বলো কি-বা করি,
মহাকাল যে মানবে না এই কালহীন ভালোবাসা...
এ যে অমৃত সর্ব্বনাশা,
জগৎ বিধাতা, তোমার এ নিখিল, অপার মায়া,
তাই তো ভায়া, আঙুর কন্যা সুরার হাতটি ধরা।।



উত্তরীয়ঃ


আজ বহু বছর পর এই ধুসর হয়ে যাওয়া লেখা টা বের করে পড়ছিলাম, মনে হলো কেউ না কেউ নিশ্চয়ই পড়বে, একজন তো পড়বেই ... ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ শুক্রবার, তারিখ ও বার, 'শিশির-অপরাজিতা পত্রাবলী' নোটবুকে আজ আঠারো বছর পরেও তেমনি সবুজ কালিতে জ্বল জ্বল করছে। খুব কাছের কেউ, খুব আপন কেউ, কাছে থেকেও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, এই কাব্য তেমন কোনো সময়কে অনেক মমতায় আজো আমার হয়ে বুকে করে রেখেছে। শুধু কথা একটিই, এ মর্ম-বেদনা বার বার নতুন নতুন রুপে মনের মানুষকে ভাবিত করে, তাড়িত করে...করে চলেছে, দূরে কোথাও, সুদূরে, নানা দেশে, নানা কালে, নানা পাত্রে...