মোহ-মুগ্ধ হয়ে খুঁজতে খূঁজতে একদিন
কোন এক স্বপ্নমেলায় তোমায় পেয়েছিলাম
তোমায় আমি চিনি, আমায় তুমি চেনো
এমনি করে ডেকেছিলাম দুজন দুজনাকে...


এপ্রিলের বিকেল তখন'ও থিতিয়ে যায়নি
নীলাভ আকাশে তুলট চাঁদের পাথর-চোখ,
হৃদয় দুয়ারে সজোর আনন্দ-কাঁপন
ঝাঁপটা ঝড়ে যেমন আটেঁ আর খোলে ...  


তোমাকেই পাব এমন বোশেখ-মেলায়,
তাই যে আমার এমনি'তর হয়রানী,
তোমার চিবুক বিকেলের সোনা-আলোয়
হায়! হায়! সহন না যায়, কহন না যায়...  


সাদাটে ধুলি-ধূসর মিলন-স্বপ্ন মেলা,
বিনা বাক্যব্যয়ে আমাদের চোখ-চাওয়া,
একটা দুটো পাখীর স্বশব্দ আনাগোনা
কোথায় যেন বজ্র আটুনীতে গেরো লাগে...


অথচ এই যেন তোমাকে হারাচ্ছি পেয়ে’ও
বলবো যে, এই না’ও তোমায় প্রেম দিলাম,
কাঁচ-সবুজ পাতাওয়ালা বকুল তলায়
বারংবার যেন আমি নিহত হচ্ছি ...


কোনো একদিন পূনর্বার তোমাকে কাছে পেতে
আমাকে হয়তো বা সুদীর্ঘ পথ হেটে আসতে হবে,
আমি নিশ্চিৎ তবু’ও যে তুমি’ই থাকবে শেষটায়
এক অবাক-সজল মৃদু-স্মিত-হাস্য চোখে...


নিহার আলোয় মাদুর পেতে আকাশ চাই
অগভীর জলের কাদায় নির্মীলিন,
কখন যেন হাতড়ে ফিরি ঘূর্নিঝড়,
এমন আমার মন-মোহিনীর রূপমতি...


প্রাচীর ছোঁয়া ইচ্ছেগুলো কোন্‌ বেলা
আমার কাছেই ফিরে এসে মুখ লুকোয়...


জানি আমি কোথায় তারে খুঁজতে যাই!
পাব না পাব তার কি কোন ধার ধারি...!!
বাহির পথের ধারে তবু’ও রই বসে,
ফেরার পথে যদি ‘সে’ আমায় নেয় চিনে...


উত্তরায়ণঃ
মানুষের জীবনে কত রকম অন্তরানুভূতির উদ্ভব উৎক্ষেপ হয় তবে তার সকলটুকুই মানব-সন্তানের জৈবিক মৃত্যুর অনতিবিলম্বে চিরজাগতিক অন্তর্ধান ঘটে কিনা শারিরীকভাবে জ্ঞাত নই তবে হ্যাঁ তার রেনু রেঁনু স্মৃতি, অনুচিন্তন, পরার্থপ্রবণতা ইত্যাদি মানবীয় দোষ-গুন কখনও কখনও এই মায়ার পৃথিবীতে ভাসমান রয়েছে, রয়ে যায়, রয়ে যাবে... এ জন্যেই মানুষ কখনও নিজেকে অতিক্রম করতে পারে না... অন্তর্জালে “The Dream Fair” শিরোনামে আমার একটি কবিতা রয়েছে। অনেক ইচ্ছে ছিল এটাকে এখানে রাখবো তবে নিশ্চয়ই ভাষার আঁঙ্গিক ও শাব্দিক পরিমার্জন করে। আজ সে আশা পূর্ণ হলো...