এটাই এখন মাথায় শুধু ঘুরপাক খেয়ে চলে...


কিভাবে কখন কোথায় জীবনের দিনরাত্রিগুলি
এমন নিশ্চিহ্ন প্রান্তিকতায় ধুসর হয়ে উঠেছে
অনুভব করতে গিয়ে আমাদের উর্বরতা
আরো হ্রাস করে ফেলছি ক্রমান্বয়ে...!


যেখানে মৃত মৃত্তিকা'ও ঘাতক হয়ে
প্রাণহীণ ফসিল্‌কে বুকে করে রাখে,
আবার সেখানেই পল্লবিত হয়ে ওঠে মানবতার খাদ্যশস্য...


মহাকাল কার উঠোনে এসে
কি দায় রেখে যাবে কে বলতে পারে...!
জীবনপক্ষ আমাদের সকলকে, তরলে ও কঠিনে
এক এক সাময়িক মাত্রায়, আকৃতি ও প্রকৃতিতে
বিভিন্ন পর্বে অনন্য সব অভিজ্ঞতায় প্রাজ্ঞ করে যাচ্ছে,
এর সবটুকুই কী আমাদের আয়ত্ববহির্ভূত... প্রশ্নবোধক চিহ্ন...


নেতিবাচকতায় উত্তরণের চেয়ে ইতিবাচক স্খলণ'ও শ্রেয়
এতে নিদেনপক্ষে কোনো গ্লানি, আক্ষেপ
কিংবা অনুতাপের উৎপাদন ঘটে না...


মাঝে মাঝেই জীবনকে নিয়ে, জীবনাঙ্গন নিয়ে  
নতুন করে ভাবতে খুব ইচ্ছে হয়...
সবকিছুর আয়োজনে যেন কেমন 'কিচ্ছু নেই' অনুভূত হয়...


কোথায় কোথায় কি কি ভুল হলো
এর প্রায়শ্চিত্তই বা কি হওয়া উচিৎ...!
সেটা এতদিন না ভাবা-ই
আজ ভাবনার মূল বিষয় হয়ে প্রতিভাত হচ্ছে
সময়ে বা অসময়ে কিংবা দুঃসময়ে...


আমরা কোথাও কেউই যে
খুব ফুলেল জীবন কাটাই তা'ও কিন্তু নয়,
এ জীবনে দেয়া আর নেয়ার ভারসাম্যে
তারতম্য হলেই বিপুল বিপত্তি ঘটে যায়,
আমরা খুব কমই জ্ঞান রাখি এ সব সম্পর্কে...


মাঝে মাঝে অবাধ্য কষ্ট আর অমোঘ যন্ত্রণার মুহূর্তে
হোমারের কাঁটাটা বুকের এদিক ওদিক খোঁচাতে থাকে,
'দুঃখ মানুষকে মহৎ করে'... কোনো কথা হবে না...!
বাজে লোকের বাজে কথা থাক পথে পথে পড়ে...


তীব্রভাবে অনিবার্য কোনো এক বা একাধিক
শারিরীক কিংবা মানসিক বৈকল্য,
দূরারোগ্য জীবনকে নরক-জারিত করার মুহূর্তপূর্বে
মহাকালের সামনে হাজির করে ফেলি...


এবার তুমিই যা করার করো...!