কোথায় কোনো এক ধুলো মলিন হঠাৎ রাস্তায়
ফুটপাথের দেয়ালে হেলে থাকে অচিন পাখি,
উচ্ছসিত ডাগর তন্বী তরুণী নয় সে কিছুমাত্র
অথচ তাকে দেখেই আমার বসন্ত দেখা হয়...


বার কয়েক মাত্র অজানিত দৃষ্টি বিনিময়
অপরাধী আমরাই, বুঝে নেয় পাপিষ্ঠ হৃদয়।।


হতে পারে কোনো কেউ এসে নিমিষেই
নিভিয়ে দিয়ে গিয়েছে তার নূরানী পিদিম;
স্বপ্নদোষী হাতে, হাত চেয়েছিল জীবন ভরে যার
তারই অপেক্ষার পথে ওড়ে যেন ঝরাপাতার ঢেউ...!


ফুলেল বসন্তে ফুল ওঠে খোঁপায় কিংবা হাতে
সহস্র বৃন্তের আঘাত ভুলে যায় পুষ্পহীন বাগান,
বসন্ত এসে গেলেও ধুসর মানবী তেমনই রাস্তায়,
শূন্যে বাড়ানো হাতটি যেন হারানো হাত খোঁজে...!


দৃষ্টি যখন মমতার, দরদের, ন্যূনতম সাহায্যের
কোনো পৌনঃপুনিক লোলুপ পাশবিকতাবিহীন,
ধুসর শুখনো চোখদুটোতে, তামাটে ত্বকের গালে
এতটুকু বাড়িয়ে বলছিনে, আমি বসন্ত দেখেছি...!


উচ্ছসিত ডাগর তন্বী তরুণী নয় সে কিছুমাত্র
অথচ তাকে দেখেই আমার বসন্ত দেখা হয়...


Π__Π__Π__Π__Π__Π__Π__Π__Π_______
উত্তরা ঢাকা
বাংলাদেশ
১৮/০২/২০১৭