স্বপ্নের মায়াবী ছলনায় এক অষ্টাদশী বালিকা
বিপুল বিস্ময়ে জেনে গেল
আমি তাঁর শরীরের অংশীদার,
সেই থেকে সে আমার প্রথম প্রেম
প্রথম নারী, আমি তাঁর প্রেম পূজারী।
অতপর কত গ্লানি বুকে লয়ে
সেই বালিকার সবটুকু পৃথিবী শুধু আমি
আর আমার পৃথিবী তার স্বপ্নের বেড়াজাল;
বাড়ন্ত শৈশবে বুকের উম নিতে গিয়ে
নিদারুণ প্রহারে ততদিনে শিখে গেছি
নিয়ম-নীতির ছলচাতুরী, রমনীর ধারাপাত।


তারপর সেইসব কিশোরীরা দলবেঁধে এসে
খেলা শেষে অবেলায় মিশে গেল গোধূলির পানে
কেউ কেউ জোছনায় ঘর বেঁধে ফিরে আসে
কেউ কেউ মেঘের জলে ভেসে রঙ্ধনু হয়ে রয়;
সহসা একদিন সেইসব কিশোরীর মাঝে
খুঁজে পাই সেই অষ্টাদশী বালিকার মুখ
আড়ষ্ট গ্রীবার তলদেশে খুঁজে ফিরি তাঁকে
যে আমার প্রথম প্রণয়, রক্তমাংসের নারী।


কিশোরীর নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম
দেখেই মনে হয়েছিল বুঝি আজ বসন্ত!
প্রকৃতি আর রমনীতে যেন তফাৎ নেই কোন;
চৈত্রের খরতাপে কিংবা বৈশাখের ঘূর্ণিঝড়ে
অথবা হেমন্তের জলচ্ছ্বাসে দিশেহারা আমি
অশরীরী সেই নারীর কাছে আশ্রয় খুঁজি
যে আমার প্রথম প্রেম, আজন্ম সারথি।


এখনো আমি তাঁর বিষন্ন সুন্দরের পূজারী
এখনো আমি সেই রক্তমাংসের ব্রতচারী
ভিখিরি বেশে আজও সেই বিমূর্ত আশ্রমে
ফিরে আসি বারবার
সে আমার নাড়িছেঁড়া প্রেম, আমি তাঁর
অপত্য স্নেহের প্রথম পুরুষ।