আমি শুধু একবার গিয়েছিলাম তোমাদের বাড়ি;
এরপর, স্বপ্ন-কল্পনার ঘোরে প্রত্যেহ প্রহরে প্রহরে যেতাম।
তোমাদের সেই সেমিপাকা ঘরটা
কখন যে রাজপ্রাসাদ হয়ে গেল ভাবতেই পারিনি।
প্রহরী-পাইক-পেয়াদা-উজির-নাজির
প্রজাদের আনাগোনার লঙ্কাকান্ড দেখে
আমি ভড়কে যেতাম রীতিমতো।
ধীরে ধীরে একসময় সব স্বাভাবিক হলাে।
উজির নাজিরদের সাথেও গড়ে উঠলো সখ্যতা।
একটা সময় নিজেকে মনে হলো ওই সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি।


মনের অজান্তেই তােমাদের বাসায় ঢোকার সেই সরু কর্দমাক্ত রাস্তাটা
আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে লাল গালিচা বিছিয়ে ফুলে ফুলে সাজলো।
আমি বীর বেশে সৈন্যসামন্ত আর
কল্পলোকের পঙ্খীরাজ ঘোড়া নিয়ে
কল্পনার তোমাকে ছিনিয়ে আনতাম রোজ;
নিজেকে তখন গ্রিক মহাবীর আলেকজান্ডার মনে হতো-
আমি যেন অর্ধপৃথিবীর সাম্রাজ্যের অধিকারী।
সাম্রাজ্যবাদের নেশা পেয়ে বসে আমাকে
আমি তখন পুরো পৃথিবী জয়ের নেশায় মত্ত।
প্রজারা আমার বীরদর্পে এগিয়ে চলা দেখে
আর্শীবাদের করতালিতে ফেটে পড়তো।


আমি যখন রূপকথার তেপান্তরে কল্পলোকের গল্প সাজাতে ব্যস্ত-
তখন অচিনপুরের রাজা এসে
রানীকে নিয়ে চলে গেছে ময়ুরপঙ্খী নাও ভাসিয়ে  
সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে।
-এরপর আমার সপ্তডিঙ্গা বহর আর
পঙ্খিরাজ ঘোড়া নিয়ে তোমাকে খুঁজে বেড়িয়েছি
সমুদ্র থেকে মহাসমুদ্রে, সাম্রাজ্য থেকে সাম্রাজ্যে;
আজো তোমায় খুঁজি- অনন্তকাল খুঁজবো।


-----------------------
০৫ জুলাই, ২০২০
দক্ষিণ খান, ঢাকা।