দেবীকে সবাই ভালবাসে- তাঁর পূজা অর্চনা করে;
ভক্ত জানে তাকে কখনো পাবে না,
এও জানে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে- তবুও
অবুঝ তাঁর পূজা দেয়।
চরণ তলে হাজরো ফুল উৎসর্গ করে
মনে মনে অনুক্ষণ দেবীকে চায়;
হয়তো তাকে বা তার ভালবাসা পাওয়ার জন্য নই
-শুধু তার করুণা পাওয়ার জন্য।
ভক্তের ভালবাসা আর পূজা অর্চনায় সিক্ত হয়ে দেবী
ভক্তকে করুণা দান করে।


প্রিয়তমা,
তোমাকে যতই ভালবেসেছি- পেতে চেয়েছি ,
ছুঁতে চেয়েছি- ততই তুমি অধরা থেকেছো;
রহস্যের মায়াজালে বেধেঁছ, ভালবাসনি আমায়।


মায়াবতী,
তোমার নেশাভরা মায়া নয়ন,
এলোকেশ আর টানা চোখে সাগর সমান গভীরতা দেখে
তোমাকে দেবী ভাবতে শিখেছি।


প্রিয়তমা; শোন-
দেবীদের কখনো পাওয়া যায় না;
না ওদের স্পর্শ করা যায়, না ওদের দেখা যায়।
ওরা মর্তের পৃথিবীতে অপার্থিব মায়া।
তবুও অবুঝ ভক্ত তাঁর প্রতীমা বানায়-
সাঁঝ-প্রভাতে দেবীর চরণে পূজা অর্পণ করে-
হাজারো ফুলের অঞ্জলি দিয়ে,
মুখে জপে অবিরল দেবীর নাম।


প্রিয়তমা নয়; দেবী-
দেখো! আমার হৃদয়ে তোমার প্রতীমা সাজিয়েছি
পূজা দেই প্রতিনিয়ত
অর্পণ করি সাঁঝ-প্রভাতে
হাজার ফুলের নৈবেদ্যে।
আমার হৃদয়ে দেবীর বসবাস-
এখন আমার হৃদয় দেবালয়।


এতো ফুল অঞ্জলি, এতো নৈবেদ্য,
এতো আরাধনা , এতো পূজা অর্চনা;
দেবী! ভালবাসা না দিলে,
করুণা পেলাম কয়!