নিয়তি আমাকে নিয়ে চরম খেলা খেলিছে
ঠাট্রা হাসি আর বিদ্রুপে জীবনের বারোটা বাজিয়েছে।
আমাকে নিয়ে নিয়তি হাসে
হাসবেই তো-
শুধু শুধু তার ঘাড়ে কেন দেয় দায়,
জীবনের কথা ভাবলে
আমার নিজেরই চরম হাসি পায়।


রাস্তায় যখন নীরবে একা একা চলি
মাথার ভিতর কেবল ভাবনাগুলো এসে যায়-
কি ভাবি, কি ভাবনা; আমি নিজেই জানিনা,
আবোল তাবোল সব।
মাঝে মাঝে মনে হয়- এক জোড়া চোখ,
এলোমেলো কালো চুল;
মায়া মুখের এক ঝলক হাসি
স্বপ্ন-কল্পনা, প্রেম-বিরহ;
স্মতি-বিস্মৃতির আড়ালে সবই অবাস্তব।


আমার এক বন্ধু বলে আমি নাকি পাগল।
রাস্তায় পাগলকে দেখেছে প্রলাপ বকতে-
কথা যা বলে তাকে ভাষা বলে না, কারণ-
সেগুলো দ্বারা মনের ভাব প্রকাশিত হয় না।
আমি যা বলি সহজে সবাই বুঝে
আর আমার ভাবনাগুলো বিস্মৃত-বিচ্ছিন্ন নয়
নিরবিচ্ছিন্ন আমার সকল ভাবনা-
অতীত কেন্দ্রের বিন্দুকে ঘিরে
বর্তমান বৃত্তে আবর্তিত হয়।
আমি পাগল নয়; নিয়তির পাগলা খেলায়
আমার সকল ভাবনাগুলো বার বার
একই বিন্দুকে ঘিরে এসে যায়
অথবা ভাগ্যের চরম বিদ্রুপে
বার বার সে আমার সকল ভাবনার
একক হয়ে যায়।


করুণ চোখে চেয়ে দেখি নিয়তির অট্রহাসি;
নিয়তি আমাকে নিয়ে হাসে,
নিয়তির হাসি দেখে মাঝে মাঝে
আমাকে নিয়ে আমারও হাসি আসে।