নারী,
তুমি কি আজন্ম কৃতদাসী?
যেমনটি ছিল তোমার পূর্বসূরী!
তোমার জন্ম শুধু,
পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য!
তুমি কি শুধু জলসা ঘরে নাচবে,
গাইবে গান!
উলঙ্গ শরীরে মেটাবে দানব রুপি পুরুষের কাম ক্ষুধা!
তুমি কি শুধু দুগ্ধ উৎপাদন খামার,
তুমি কি প্রজনন যন্ত্র মাত্র!!


নারী,
সত্যিই কি তুমি তাই?
তোমার জন্মই কি আজন্ম পাপ?
তবে কেন?
নিজেকে সঁপে দিচ্ছ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে?
একটু ভেবে দেখ,
কোন পুরুষই কেন পতিত নয়?
তুমি নারী বলেই পতিতা?
তোমাকে ঘিরে কেন “দাও, দাও আরো দাও”
শব্দগুলো ঘুনপোকা হয়ে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় ?


নারী,
তুমি জাগো
নিজেকে মুক্তি দাও,
তুমি দাসী নও, অর্ধাঙ্গী হয়ে বাঁচো
অন্ধকার ঝেড়ে
আলোর পথে ফেরো।
তুমি শুধুমাত্র নারী নও,
তুমি দেবী,
তুমি সেবী,
তুমি পূজারিনী,
তুমি পুরুষ জীবনের পূর্ণতার প্রতীক,
স্বর্গীয় শান্তির পায়রা,
তুমি বিরঙ্গনা,
তুমি প্রেয়সী,
তুমি ধুমকেতুর বিস্ময়,
তুমি জননী,
পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টি তোমার গর্ভে।