যে ছেলেটি আট লাইন
কবিতা মুখস্ত করতে পারতো না।
সেই ছেলেটিই আজ
১৪ লাইন কবিতা লিখে ফেলছে।


যে ছেলেটির হাতে পায়ে ধরে কেউ
একটু গান শুনতে পারিনি ।
সেই ছেলটি এখন মন আনন্দে গুণ গুণিয়ে গান গাই।


যে ছেলেটিকে জোর করে চা খাওয়াতে পারতো না কেউ।
সেই ছেলেটি রেল লাইন ধরে ২কিলো হেটে,
ভাই ভাই টি স্টলে গিয়ে, নিয়ম করে চা খায়।


সকালে ঘুম থেকে উঠা যে ছেলেটির কাছে
সব থেকে কষ্টকর।
সে ছেলেটি ইদানিং ভোর ৫টায় উঠে
যুব তরুণ সংঘের সামনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে।


যে ছেলেটি চুল দাড়ি বড় হয়ে, ঘুড়ে গেলেও
সেলুনে যাওয়ার নাম নিতোনা ।
সেই ছেলেটি এখন সপ্তাহে দুবার সেলুনে যায়।
দিনের ১০০ বার আয়নায় মুখ দেখে।


যে ছেলে ১৫মিনিট ধৈর্যধরে নাটক দেখতে পারতো না।
সেই ছেলেটি দিনের বেশি সময় কাটে
সালমান শাহার রোমান্টিক সিনেমা দেখে।


যে ছেলেটি এক সময় বলতো।
ছবি অাঁকা নাকি আকাম্মা লোকের কাজ।
সেই ছেলেটি এখন রাত্রি গভীরে ছবি আঁকে।


যে ছেলেটি কখনও মিথ্যে বলতে পারতো না।
সেই ছেলেটি এখন কত সুন্দর করে গুছেয়ে মিথ্যে বলে।
কিন্তু মা ঠিকি ধরে ফেলেন;
এর জন্য আদধামরা ছেলেটাকে
মার সামনে কান ধরে উঠ বস করতে হয়।


রাস্তায় ১০টাকা পড়ে থাকতে দেখলেও
যে ছেলেটি তুলেও দেখতো না।
সেই ছেলেটি এখন প্রায় মায়ের আঁচল কাটে।


ঝড় বৃষ্টির দিনেও
যে ছেলেটি কলেজ যাওয়া বন্ধ করেনি।
সেই ছেলেটির নামে
কলেজ ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ অাসে বাবার কাছে।


সবি হয়েছে সবই হয়
বয়সের দোষে সব কিছু বদলায়।