তোমাদের অগ্রজরা সাতচল্লিশে বসে থাকেনি,
ব্রিটিশদের জুলুমের দেনা মিটিয়ে দিয়েছে কড়াই-গন্ডায়।
বায়ান্নে তারা যৌবনের দায় নিয়ে
রাজপথের ঋণ শুধেছে তাজা রক্তে।
ছেষট্টি গেলো,উনসত্তর গেলো
তারা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথেই থেকে যায়।
এলো একাত্তর! এবার তাদের উষ্ণ রক্ত উথলিয়ে পড়ে। ভীষণ ঝাকুনি দিয়ে ওঠে  তনু-মন,তার প্রমাণ ত্রিশ লক্ষ শহীদ।


হে জোয়ান!
এবার জাগো। তোমাদের অগ্রজরা লিখে গেছে মুক্তিমন্ত্র।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কিছু অভিশপ্ত  কুলাঙ্গার তোমাদের মৌনতার সুযোগ নিতে চায়। তারা ভুলে যায় তোমরা বীরশ্রেষ্ঠের বংশধর।
দেখো,
যারা ন্যায়ের কথা বলে,
যারা অত্যাচার সহ্য করেনা,
ঐ সব কুলাঙ্গার তাদের রক্ত ঝরাবেই যেন।


এখন মৌনতার সময় নয়,
রক্তের টান মিথ্যে হতে দিওনা,
তোমাদের অতীত ঐতিহ্যের,
এবার সেই ঐতিহ্যের দায় মেঠাও।
কান টেনে দাও সেসব কুলাঙ্গারদের।