এক কোটি বছরের বন্দী কয়েদির মত আমি চটপট করি তোমার গলার স্বরের আশায়,
দম ফেলবার সুযোগ না পাওয়া এই আমার সবটুকুন জুড়ে তুমি বিচরণ করো সর্বক্ষণ;
তোমার একটি মৃদু শব্দ কিংবা এক শব্দের চিরকুট- আমার ভরা গ্রীষ্মে খড়ায় পোড়া খেতের বহু প্রত্যাশিত বৃষ্টি। অথচ-


দিনশেষে তুমি আমার সমস্ত অনুভূতি ধূলোয় উড়িয়ে দাও বিদ্রুপের হাসি হেসে!


কী অন্যায় করেছি ভালোবেসে?


তুমি কথা বললে সূর্য উঠে আমার আকাশে,
তোমার পাঠানো খুদে বার্তায় হাসে জোছনা,
অথচ তুমি কত যোগ-বিয়োগের হিসেব কষো!


এত অংক মিলিয়ে জীবনের হিসেব মিলেনি কখনো,
ফুটপাতের টঙে দু’কাপ চা’য়েই লেপ্টে থাকে বাঁচার সমীকরণ!
কিসের এত অংক কষো? একটা জীবন ফুরিয়ে যাবে কাল, তারপর না হয় মিথ্যে হইও?


আত্মার সাথে প্রতারণা করে কেউ বেঁচে নেই পৃথিবীতে,
কেউ ভালোবাসলে বিনিময়ে ভালোবাসতে হয়-
কেউ ছুঁতে চাইলে বিনিময়ে হাত বাড়াতে হয়-
কেউ বুকে জড়িয়ে শান্তি চাইলে তাকে বুকে জড়াতে হয়!


এই শহরের সাহস্র দালানের খোঁয়াড়ে লাল নীল সংসার দেখে তোমায় ভাবি।
তোমায় স্বপ্ন দেখি-
রাস্তায় দাড়িয়ে, ঠিক মাথার উপর কোনো এক খোঁয়াড়ের বারান্দায় তোমার হলদে জামা দেখে ক্লান্তি ভুলে যেতে চাই একদিন।


তোমায় ভালোবাসতে চাই!
এই ঠুনকো জীবন রাঙাতে চাই তোমার ছোঁয়ায়!


হাত জোড় করে মিনতি করি,আর কাঁদাইওনা প্রেয়সী!
তোমার প্রতি বিন্দু অবহেলা কিংবা বিরক্তির চোখ রাঙানি- জবাই করা পশুর মতো আহত করে আমায়!
আমি ধড়পড় করে মরি, তুমি ফিরেও থাকাও না কোনোদিন।


কী নিদারুণ যন্ত্রণার এ জীবন! কত চড়া ভলোবাসার বাজার!
চামড়ার রং, উঁচু-নিচু, জাত-কুজাত- ভালোবাসা পরিমাপের কত মাপকাঠি তোমাদের!