একটা নিস্তব্ধ নগরী,
যার কোণে একটা চার দেয়ালের মাঝে জানালা ঘেঁষে বসে আছে আমার মেলিন্ডা মেরিওভা।
হাতে জলরং আর সাদা কাগজ নিয়ে বসে থেকে সে,
যে প্রকৃতি হৃদয় খুলে প্রেয়সীকে আলিঙ্গন করে না ভয়ে
সেই প্রকৃতিকে সে হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলে- সাদা কাগজে।


মেরিওভা কি নির্বাক?
নাহ্, সে স্ববাক।
রুদ্ধ বাকশক্তিকে সে চিত্রে প্রকাশ করে।


প্রকৃতিকে আঁকিবুঁকি করে কি সুখ পাও তুমি মেরিওভা?
সুযোগ বুঝে তো চশমার ফাক গলে আমাকেই দেখো।


মেরিওভা প্রশ্নের উত্তর দেয় না,


সে প্রকৃতির ভাষা বোঝে, প্রকৃতিকে আকে।


রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইলেক্ট্রিক খুটির মতো বখাটে ছেলেকেও বোঝে, তাকেও আকে।


ক্যাম্পাসের তৈলাক্ত ছেলেকে বোঝে, সেও স্থান পায় মেরিওভার ক্যানভাসে।


কোঁকড়ানো চুল আর লাল ঠোটে পুরো দুনিয়াকে আলো দিয়ে যায় সেই লাস্যময়ী আঁকিয়ে।


শুধু কবিকেই বুঝে ওঠা হয় না।