ক্ষুধার রাজ্যে ব্যস্ত সবাই
আমি এক অনাহারী,
জীবনযুদ্ধে  পরাজিত হয়েও
খাদ্যের জন্য লড়ি।
বাবা-মা ,ভাই-বোন ছিল সবাই
ছিল সোনার সংসার,
অভাব এসে বন্ধু হল
করে গেল মোরে ছাড়খার।
বাবা-মা গেল হারিয়ে মোর
শূণ্য রেখে হাড়ি,
ক্ষুধার জ্বালায় টিকতে না পেরে
ছুটে যাই অন্যের বাড়ি।
করে দিব বাবু সব কাজ তোমার
দাও মোদের চারটে ভাত!
এটা কি বলেছি গো অন্যায়?
যে মারল ভাইকে কষাঘাত।
এ কেমন বোন গো আমি ?
পারি না ভাইকে খাওয়াতে,
কারো কাছে কিছু খেতে চাইলে
সবাই আসে মেরে ধাওয়াতে।
ফুলে ভরা ঐ বাগানটাতে পারি না ঢুকতে,
বলে --You bastard go out this area.
জানি না কোন ভাষা এটা!
খাবার হয়ত দিবে না, তাই দিয়েছে বলিয়া।
কি করিব ভাই,পারি না আমি
তোমার মুখ পানে চাহিতে!
ক্ষুধার রাজ্যে মোরা অনাহারী
সব কিছু হইবে সহিতে।
এদিক-সেদিক ঘুরিয়া বেড়াই,
খাবার সন্ধান নাই।
এ কেমন জ্বালা বুঝিয়া পাই না,
যাবে কি চলিয়ে মোর ভাই?
এক ভদ্র লোক,ভদ্র ভাষাতে
বলিল মোরে - খুঁকি!
মুখ যে তোমার মায়া ভরা
কি খুঁজছো দিয়ে উঁকি?
ক্ষুধার জ্বালায় ভাই মোরে যায়
দিবে গো বাবু দু-টো ভাত?
দিতে পারি এক শর্তে !
থাকবে মোর বাসায় রাত?
রাস্তায় রাত থাকার চাইতে
বাসায় থাকা ভালো,
কে জানিত হায় ভাই হবে শেষ !
জীবন হবে মোর কালো।
এ কেমন পৃথিবী তুমি,
সৃষ্টি করেছো দয়াময়?
সব কিছু কেরে নিয়ে মোর
করছো তিলে তিলে ক্ষয়।
মৃত্যু কেন ডাকে না মোরে?
বিষে ভরা এই দেহরে ,
বিষপানে মরব আমি
লিখে যাব এক চিঠি।
মোর মত যেন আর কোনো নারী
জীবনকে এভাবে নাহি দেয় ছাড়ি।
মোর জীবনের বাকী চাওয়াটুকু
পূরণ করিও ভাই!
আকাশেতে বসেও যেন
অন্যায়ের ধ্বংস দেখতে পাই।
ভবিষ্যৎতের নারী তুমি
হও আরো মহীয়ান!
ক্ষুধাকে তোমরে জয় করিও
রাখিও নারীত্বের মান।