চেনা শ্রাবণের দিন হায়
যেন বৃষ্টির কাছে নিরুপায়
তবু নারীর চলন গতি পায়
নিয়ে মাটির কলসী কাঁখে।
সাদা কাশবন যেন ফুলে-ফুলে
সাজানো নদীর দু-কূলে
তবু বেয়ে যায় মাঝি ভরা পালে
কোন সে পথে?
চেনা শ্রাবণের মেঘখানি
ঝরে অঝর বৃষ্টি জানি
তবুও আমি স্বপ্ন বুনি
দু-চোখের কোণে।
স্বপ্ন চুপি চুপি বলে যায়
ভালবাসায় ভরা আঙ্গিনায়
সারাবিশ্বে বাংলা ছড়ায়
কোন সে নতুন রূপে?
মেঘে মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়
বৃষ্টি হয়ে সব চলে যায়
তবু চোখের জলে স্বপ্ন ছেঁয়ে যায়
নারীর মনে প্রাণে।
বাংলার বুকে তুমি শ্রাবণ
রামায়ণে ছিলে রাবন
তোমায় ছাড়া যে ঋতু কৃপণ
বর্ষা যে।
বাংলা বর্ষে তুমি চতুর্থ
বৃষ্টি ঝরাও কাজে পরার্থ
তবু পাই না যে তার অর্থ
চাও কি তুমি? হে শ্রাবণ।