পদ্যটি লিখেছিলাম কোনো এক
জ্যোৎস্নালোকিত পূর্ণিমার রাতে,
খোলা জানালার পাশে বসেছিলাম—
কবিতার খাতা আর
তোমার উপহার দেওয়া সেই কলমটি হাতে।
নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে ছিলাম
রুপালি আগুন ঝরানো ওই আকাশটার দিকে,
অপরুপ মাধুর্যমণ্ডিত ঋক্ষরাজ'টি দেখতে দেখতে
চোখ দুটো হয়ে আসছিলো ফিকে।


চন্দ্রিমার সৌন্দর্য দেখে আপ্লুত হয়েছি বলে
আমি গগন পানে তাকিয়ে ছিলাম না;
আমি শুধু চন্দ্রিমার সাথে
তোমার মুখশ্রীর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য অন্বেষণ করছিলাম
আর ছন্দ-মিশ্রিত পঙক্তিগুলো
কবিতার খাতায় লিপিবদ্ধ করছিলাম।
প্রতিটি পঙক্তি জুড়েই ছিলো—
তোমার সাথে সেদিনের রুপালি রাত্রি আর
ঐশ্বর্যবতী সেই চন্দ্রিমার উপমা—
যেই উপমায় তুমি ছিলে
তাদের চেয়েও মহীয়সী— তোমারি ছিলো গরিমা।
এই পৃথিবীর নিসর্গশোভায়
তুমিযে চির অনুপম— তা'ই ছিলো আমার
পদ্যটির সারমর্ম।


কবিতার খাতা থেকে পাতাটি ছিঁড়ে—
আলতো ছোঁয়ায় ভাজ দিয়ে রেখেছিলাম—
তোমাকে পদ্যটি উপহার দেবো বলে।
কিন্তু তার পূর্বেই—
তুমি হারিয়ে গেছো পৃথিবীর কোলাহলে।
তোমাকে আমি খুঁজতে গিয়েছি বারংবার,
কিন্তু তোমার দেখা পাইনি;
পেয়েছি শুধুই বিষাদ আর হাহাকার।
আজ আমি অবসন্ন, তোমাকে আর খুঁজি না,
শুধু কবিতার পাতাটি নিয়ে— খুলে রাখি
প্রতীক্ষার ভাঁজ;
এই ভেবে—
পদ্যটি নিতে তুমি— আসবে হয়তো আজ।