সুচরিতা
সমস্ত যৌবন ধ’রে সৃজন করেছো যে কবিতা,
নিসর্গের চোখে তুমি উহ্য রেখেছো তার অন্তমিল।
সুচরিতা
তুমি বুনতে জানো না ইন্দ্রজাল;
তবুও তোমার মহিমায় এ জগৎকে করতে পারো তুমি স্বপ্নিল।
সুচরিতা
সে’তো মর্তের শ্রেষ্ঠ বিজেতা—
যে করতে পেরেছে তোমায় জীবন সঙ্গিনী;
প্রশান্তির চাদরে আবৃত হয়েছে যে তাঁর দিবস-রজনী।
সুচরিতা
তোমার তরে খুঁজে পাওয়া যায় পরিশুদ্ধতা,
কদর্যতার সাধনা তুমি করনি কোনোদিন;
তোমার কাছে চিরকাল ছিলো তা পরাধীন।
সুচরিতা
তুমি ঘোচাতে জানো নির্জনতা;
পুণ্য দিয়ে তুমি অন্বয়ে বয়ে আনো শুধুই প্রসন্নতা।
সুচরিতা
তুমি এক সুবিমলচেতা,
তোমার দ্বারা দীর্ণ হয় না পুরুষ-চিত্ত,
তুমিযে খুব সযত্নে আগলে রাখতে জানো তোমার সতীত্ব।


কিন্তু সুচরিতা
এই মর্তধামে তুমিযে বড়ই দুষ্প্রাপ্য,
তোমাকে পেতে
কত না তপস্যা! কত না সাধনার সান্নিধ্য!
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে পেরিয়ে যায়
কত না শতাব্দী! কত না অব্দ!