নভোলোকের একটি শুভ্র তারা
তুমি যেদিন দিবে পাহারা,
নিকশ কালো একটি আঁধার
করবে যেদিন তোমায় তাড়া,
চোখের ত্রিপলে যেদিন তোমার
ভাসবে আমার কবিতাগুলো,
আমার ছবি আঁকবে যেদিন
নির্জলা এই মর্তের ধূলো,
তোমার বাগানে ভ্রমরটা আর
না আসে যদি শীধুর লোভে,
তোমার মনের বিস্বাদ ভাবটা
না ঘোচে যদি ফুলের সৌরভে,
অশ্রুবারির নক্ষত্রটা
গড়াবে যেদিন তোমার চিবুকে,
তন্দ্রার খোঁজে রাত্রি হনন
করবে যেদিন ভেবে আমাকে,
ঋতুরাজের ওই মধু-শখাটা
যদি না ডাকে আর কুহুতানে,
শেষ বিকেলে গোধূলির রং
যদি না ভাঙ্গে নদীর পানে,
সুর লালিত্য স্পন্দনগুলো
যদি না আসে তোমার গানে,
ছেঁড়া পাতার স্মৃতিরা যেদিন
উস্কানি দেবে তোমার কানে,
জ্যোৎস্না রাতের ঋক্ষরাজটা
যদি না ঝরায় রুপালি আগুন,
নিস্তেজ আভার ঝলকানিটা
দেবে না যেদিন ভোরের অরুণ,
শ্রাবণমেঘের বৃষ্টিধারায়
ভিজবে না যেদিন তোমার দেহ,
ভালোবাসার জালটা বুনা
বুঝবে যেদিন খুব দুরূহ;


ভেবে নিও তুমি, ভেবে নিও সেদিন
আমি আর নেই বিরাগ দিতে,
তোমার দ্বারে রিক্ত হাতে
আসবো না আর প্রণয়লীলার
দুটো কড়ি ভিক্ষা নিতে।
আমিতো ছিলাম প্রেমের পথিক
তাইতো গেছি তোমার দ্বারে,
আবেশ হিয়ার মাঝে নিয়ে
সাঁতরে ছিলাম নীল সায়রের নষ্ট নীরে।
জানি তোমার অভিসন্তাপ
ফলবে সেদিন মুক্তোর মত,
দগ্ধ যুগের দুঃস্মৃতিরা
করবে তোমার পাঁজর ক্ষত।
তবুও সেদিন থাকবো না আর
থাকবো না আর এই সদনে,
ক্লিষ্ট চোখে এপিটাফ লিখে
কাঁদবে সেদিন আপনমনে।