যিনি আমাকে দশ মাস দশ দিন
গর্ভে রেখে প্রসব যন্ত্রনা সহ্য করে
এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


যিনি শিশুকালে রাতের পর রাত জেগে
ক্ষুধার্ত থেকে আমাদের লালন-পালন করেছেন
বুকের অমৃত ধারা আমার মুখে তুলে দিয়েছেন
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


যিনি সংসারের সকল দায়-দায়িত্ব পালন করে
ঠিক সময়েআমাকে খাইয়েছেন, নাইয়েছেন,
পড়িয়েছেন, খেলেছেন, গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়েছেন
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


যিনি নিজে অসুস্থ হলেও রাত জেগে সুশ্রষা
করেছেন আপন অসুস্থ সন্তানকে, তারই
মঙ্গল কামনায় নির্জলা ব্রত পালন করেছেন
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


যিনি শত অভাব-অনটনে থেকেও আমার
গায়ে তার আঁচ টুকুও লাগতে দেন নি
মানুষের মত মানুষ করায় ব্রতী হয়েছিলেন
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


যিনি আমাকে সভ্য-নম্র-ভদ্র-সৎ হতে,
কঠোর পরিশ্রমী হতে, অহিংস পরায়ন হতে
পরের দুঃখে দুঃখী হতে শিখিয়েছেন
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


মায়ের সেই দান আমি কতটা গ্রহণ
করতে পেরেছি জানি না, তবে সকলে
আমাকে দেখলে বলে-এটি ওমুক মায়ের
সুসন্তান, যা মায়ের অবদান ছাড়া কিছুনা।


মাগো, আজ আমিও যে মা হয়েছি
তখন তোমার সব কথা বুঝতে না পারলেও
এখন হাড়ে-হাড়ে বুঝতে পারি। মাগো তোমার
অব্যক্ত দুঃখ যন্ত্রনা ও পরিশ্রমের ফসল আমি।


আজ আমি যা কিছু হয়েছি, যা পেয়েছি
তার পিছনে যিনি আছেন,যার অফুরন্ত
মায়া-মমতা-স্নেহ-ভালোবাসার দান আমি
তিনি আর কেউ নয় আমার ‘মা’।


রচনাকালঃ ১৬/০৯/১৫