নদীর ঢালু পাড় ভেঙে ঢেউয়ের কলকল
ভোরের লাল রোদ যেখানে থমকে ছিল
থমকে ছিল আমার বিশ্বাস-
গুল্ম আর আগাছারা ফিসফিস করে,
যেন কতদিনের জমানো জল্পনা
পায়ের কাছে ফাঁকা কলসী ভাসে জলে
চারিদিক কোলাহল রোহিত
ঘোমটা ঢাকা মেয়ের কোনো হাত ছিল না
কাঁকে বসিয়ে কল্পনা ভরে নেবার-
অথচ আমি ঘূর্ণির আবর্তনে ভেসে গেলাম।


মনে রাখার মতো কথা কিছুই ছিল না
তোমার প্রেমের বাঁধন আমার বোঝা হয়ে গেছে
মাত্রাহীন নাকি মাত্রাতিরিক্ত-
ও মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকাই শ্রেয়
নদীর অসমান ঢেউয়ে চিকচিক করে
আমাদের সামাজিক অবৈধ প্রেম।


তোমার শাসন সব আমার ওপর
দুই পাড়ে শুধু ভাঙা গড়ার খেলা-
তার মধ্যেও বয়ে চলে সংসার,
আর শরীর ছুঁয়ে নিষ্কাম যৌনতা-
একটুকরো খড়কুটো
মুঠোতে চেপে ধরার আগেই
বানের জলে ভেসে যায় অবরুদ্ধ সময়।


বেওয়ারিশ লাশের মতো পড়ে আছি
চিতার আগুনের আশায়।


কুন্ডলি পাকানো আগুনে ছাই হয়ে উড়ে যায়
আমার শরীরের পঞ্চ ধাতু-
বিষাক্ত কালনাগিনীর কামড়ের দাগ তবু
থেকে যায় নাভিতে-
বিধাতার পরিকল্পনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
মুছে যায় আমার সমস্ত ঘাত-প্রতিঘাত।


তোমার জন্য বাঁধা বেসুরো গলার গানে
বৃষ্টির জলে হাত পেতে শব্দের ছেলেখেলা-
নরম ঘাসের গায়ে হাত বুলিয়ে
খুঁটে খুঁটে তোলা ছন্দ,
এসব শুনে চোখে ঘনিয়ে আসে মেঘ,
একমুহূর্তের জন্য থমকে যায় অনুভূতি,
এতদিনের হিমায়িত সব প্রশ্নগুলো
এবার ঝরে পড়ুক আগুনের বৃষ্টি হয়ে।