চায়ের প্রথম চুমকের সাথে স্বপ্নের শুরু
বিমুগ্ধতার চেয়ে বিশ্বাসটা ছিল বড় বেশী
আম পাতার গানে ভেসে যাওয়া দুপুর
ধুলোতে ছিল বৃষ্টির চেনা গন্ধ
বলাকারা পাখা মেলেছিল খোলা আকাশে
দৃষ্টি বিনিময়ের পালা তখনও ছিল বাকি
কলাপাতার আড়ে আড়চোখে চাউনি
চাউনি ছুঁয়ে ছিল নিষ্কম্প হৃৎপিণ্ড
পোড়া মাটির স্ট্যাচুতে সঙ্কল্পিত প্রাণ
সে প্রাণ নিমজ্জিত একাকী নির্জনে
ছক কাটা দাবার ঘরে রাজা রানীর  প্রেম
পেয়াদা উজির লড়ে মরে নিতান্ত সাদামাটা
উট আর পাল্কিতে চলেছে কার বউ
ঘোড়ার আড়াই চালে সব বাজিমাত
ভগবানের ছদ্মবেশে যক্ষের বাসর
ধর্মের দোহাই দিয়ে আত্মা চুরি রোজ
অপরিপক্ব মৌতাতে অপরিমিত মৌ
একটু একটু করে পান করা নিষ্কলুষ সম্মান
জীবন মানে অনেক কিছু জীবন মানে বাঁচা
বাঁচার জন্য নিজে হাতে অযাচিত দাসত্ব
মিথ্যে ছলে চোখের জলে জাল পাতার দায়
দায়ভার মানিয়ে  নিয়ে ভগ্ন অহংকার
অলীক পাখির গানের সুরে সম্মোহিত মন
এ কোন মাদারীর খেলা চলছে অবিরাম
তলিয়ে যাওয়া বাঁচার তাগিদটা আবার চাগিয়ে ওঠা
একমুঠো স্বচ্ছ হাওয়া যেন মুক্তির স্লোগান
ঘষা কাঁচে চোখ রেখে ফিরে দেখার তবু আপ্রাণ চেষ্টা
প্রবিষ্টিত কল্পনায় সবকিছু বিভ্রান্তি
একটুকরো পাতার সাথে ভেসে ওঠার সবেগ অভিপ্রায়
এবার বোধহয় গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে
বিবর্ণ ছবিতে তুলির আঁচড়-
অপেক্ষায় থাকা সাদাকালো রঙগুলো রঙীন হবার
তোমার বারান্দায় খোলা চুলে মিষ্টি রোদ
আমার বুকে শুধু ভাদ্রের হা হুতাশ
না থাকার চরম বেদনার চেয়ে বরং না পাওয়াই থাক
ভাটিয়ালী গান বিলীন হোক ভাটার  টানে
নাই বা ফিরল ঘাটে মাঝি সাঁজের বাতি দিতে
ছেঁড়া পালে লেগে বসন্তের হাওয়া
গোধুলীর মায়াবী আঁধারে  হারিয়ে যাক
একটু একটু করে-
তোমার আমার বড় সাধের
কেয়া পাতার নৌকো।