আজ আকাশ বড়ো থমথমে,
ছেয়ে আছে ছাই ছাই রঙের মেঘে,
আবহাওয়া গুমোট হলে যেমন হয় তেমন।
আজ বাতাস বইছে না,
যেন তার সামনে এক কদাকার দৈত্য এসে উপস্থিত হয়েছে,
ভয়ে এগোতে পারছে না।
যে গাছগুলো কাল অব্দি ছিল সতেজ প্রাণবন্ত,
আজ যেন কেমন শুকিয়ে গেছে।
খোলা আকাশের নিচে যেন প্রেতের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
আজ পাখিদের ডাক লোপ পেয়েছে,
যেন তাদের ডাকা নিষেধ।
যে বাড়ির পাশের ছোট গলি পথ দিয়ে,
প্রতিদিন কয়েক'শ মানুষ হেঁটে যায়,
সে পথ আজ জনমানব শূন্য।
বাড়ি থেকে এক মিনিট দূরে যে বড়ো রাস্তা রয়েছে-
আজ সেখানে একটা গাড়ির হর্নের শব্দও পাওয়া যাচ্ছে না!
আজ কি কোনো মানুষের দরকারি কাজ নেই,
কেউ অফিস যাবে না,
কেউ স্কুল যাবে না?
আজ তো কোন ছুটির দিন নয়।
ফেরিওয়ালারা বোধহয় আজ এ গলি পথ ভুলে গেছে।
অন্যদিন যেখানে ওদের আনাগোনা হত সেই কোন ভোর থেকে,
আজ আর কেউ কিছু বলে হেঁকেও যাচ্ছে না।
যে কুকুরগুলো রাতদিন চিৎকার করে-
সারা পাড়া মাতিয়ে রাখত,
আজ তারা কোথায়?
সময় আজ থমকে গেছে।
হাতঘড়ির সামান্য ক্ষীণ শব্দও
শুনতে পাচ্ছি না কেন?
কাঁটা ঘুরছে না,
বেলা এগোচ্ছে না?
আজ প্রকৃতির মধ্যে কেমন যেন কান্না চেপে রাখার ভাব,
সবকিছুই যেন শূন্য শূন্য,
চারিদিকে এক অপার্থিব নিস্তব্ধতা।
তুমি আজ চলে গেছ চিরকালের জন্য পরলোকে,
আর কোনদিন আসবে না ফিরে।
তোমার মরদেহের পাশে আছি বসে।
তোমার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই-
বোধহয় সকলের এত নীরবতা পালন,
হোক সে জড় বা জীব।
পরিস্থিতি এমন ঠিক যেন মনে হচ্ছে রয়েছি পৃথিবীর বাইরে।
--- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৬মে,২০২৩,রাত ৮টা, বারুইপুর