এত গান,এত সুর
দিলে তুমি আমায়।
তুমি ছাড়া সব গান
বিবর্ণ ধরায়।
তুমি আমার হৃদয় মিশে,
তুমি প্রতি কণায়।
তুমি আমার রক্তে,
প্রতি কণিকায়।


ও বাংলা!ও বাংলা!
তুমি আমার ভাষা।
কি করে তাই তুমি বিনা
প্রকাশ করি আশা।


এত ছড়া, এত কবিতা
তোমার ঝর্ণা ধারায়।
ভিজে গিয়ে হৃদয় আমার
স্নান হয়ে যায়।
তোমার কথা সাগর গিয়ে
তরঙ্গ-রাগ ভাঙ্গায়।
তোমার শীতল কথা শুনে
সেও মাথা নোয়ায়।


ও বাংলা! ও বাংলা!
তুমি ভালবাসা।
তুমি ছাড়া ভালবাসা
ভাষা পায়না।


এত সোনা,এত হীরা
দেখি এত গলায়।
দেশের গলায় তোমার কথা
অধিক আলো ছড়ায়।
যদি সোনা-হীরা মূল্য সবই
মাপি একটি পালায়।
অন্য পালায় তোমার মূল্য
বেশি বলে জানায়।


ও বাংলা! ও বাংলা!
তুমি হৃদয়-গাথা।
কোন দামে যায়না কেনা
অমূল্য ঐ কথা।


ছোট্ট সুরে মা ডাকটা
সুমধুর ভাষায়।
সুরে সুরে পুরো ধরা
প্রসার হয়ে যায়।
একটি মাত্র বর্ণে তোমার
এত মধু ঝরায়।
কোন ফুলেতে থাক তুমি
বলে দাওনা আমায়।


ও বাংলা! ও বাংলা!
তুমি আমার মা।
কোথাও মা তুমি ছাড়া
পাইনা মায়ের ছায়া।


তুমি স্বর্ণ তুমি রত্ন
লুকিয়েছি মনে।
তুমি ফুল, তুমি মালা;
দিয়েছি তা গলে।


কত ছেলে মাগো তোমায়
মিছে ভুলে যায়।
মাকে তার ডাকে মাগো
বিদেশিনী ভাষায়।


এ বুকে মা রক্তের
স্রোত বয়ে যায়।
বেদনার ইতিহাস
মনে পড়ে যায়।


কত ছেলে তোমার তরে
জান ঢেলে দেয়।
মনে পরে চোখেতে মা
জল এসে যায়।


চোখ-জল দাও মুছে
নিজ হাত-ছোঁয়ায়।
বয়ে বয়ে যাবে তবে
তব সাড়া গায়।
(বাংলা আমার ভাষা)


(নিচের দিকে এসে চক্ষু-জল শান্ত রাখতে পারলাম না;বিশ্বাস না হলে বন্ধু! তাকাও ঐ যে ইতিহাসে।
দ্যাখ কান্না আমার,কান্না তোমার,কান্না মায়ের, কান্না বাবার।যত দূরে যাই এ ভাষাকে যেন ভুলে না যাই । কাঁদ বন্ধু কাঁদ।)