তোমার নৈঃশব্দিক অস্তিত্ব চিড়ে,
ভেসে আসে নির্জনতার ডানাযুগল।


দ্বার খুলে যেইনা হস্তদ্বয় বাড়ায়,
ধরণী আচমকা থমকে দাঁড়ায়।


অতঃপর সম্মুখ প্রশ্নে আবদ্ধ হই,
নিরুত্তরেই কেটে যায় সহস্র শতাব্দি।


শূণ্যতার অন্তিম মোহনা ঘিরে,
অজস্র উষসীর নিরেট তমসা ছলছল করে।


আমার চৌচির কন্ঠস্বর ফেঁটে,
বেরিয়ে আসে সামুদ্রিক মহা প্রলয়।


জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলে অবিরাম,
বিরাতের হিংস্র নিস্তব্ধতার গর্জন।


পরিশেষে মুখোমুখি সংঘর্ষ,
তন্দ্রা আর রাত্রির নিশ্চুপতার।


চূড়ান্ত লগ্নে শূণ্যতার বিজয়,
অনায়াসে যা বিরাজমান হয় অক্ষিপর্ণেও।


নীরব নিশি ক্ষয়ে প্রভাত ফুঁটে,
বসন্তের পাখির ঝাঁক মিশে তুষারে।


বিলুপ্ত হয় কাঙ্খিত হরিণী,
মুছে যায় বিনিদ্রের মহাকাল।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
2014·April·07
ইনানী, ষ্টোন বীচ, কক্ִসবাজার।
02·05·AM