আচমকা হাত থেকে খসে পড়লো
গোলাপ দুটো,
বিদীর্ণ হওয়া দৃষ্টি তাই ফিরে এলো তাৎক্ষণিক নিমিষেই।


উন্মুক্ত প্রান্তরের শেষ কিনারায় নামছে
বিচ্ছিন্নতার অশনি সঙ্কেত,
সারিবদ্ধ শৃঙ্খলে আজীবন বন্দি ঐ
নৈসর্গিক মহীরূহগুলো ডুকরে কাঁদছে।


চূড়ান্তভাবে নিমজ্জিত সুধাটুকু অতি মগ্ন
হিংস্র প্রলেপের ভাঁজে ভাঁজে,
দীর্ঘ প্রতীক্ষার শত প্রহর গুটিয়ে
নিবৃত পদাঙ্কে অনুনয়ে ফিরে আসে চিত্ত।


সেবার অসংখ্য মোহ ঝরে গিয়েছিলো
অজানায় নির্জনে নিস্তব্ধে,
মৃত আত্মার চুপচাপ বিলীনতার স্পষ্ট সাক্ষী ছিলো।
ফাগুনের নীরব সেই বেরঙিন মুহূর্তক্ষণ।


যখন অবেলায় সে নীরবে দূরে সরে গিয়েছে অনর্থক,
তখন বিনাদৃষ্টিতেই আমার কেটে গেছে শত সহস্র শতাব্দি।


তাই এই বিক্ষত পোড়া মন আর স্পর্শ হয়নি গোলাপে,
অতঃপর নিষ্প্রভ থেকেই আদি তমসায় আচ্ছন্ন হয়েছে সেই প্রত্যাশার প্রাপ্তিগুলো।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
2014·Feb·22
নর্থ প্লাজা, হোটেল সী প্যালেস, কক্ִসবাজার।
07·30·PM