সদ্য দৃষ্টি পুড়ে ছাই তপ্ত বালুচর হেঁটে অনবরত,
কেবল সাক্ষী হয়েই চলেছি নিরীহ মানবের নির্মম চিত্রের।


ক্রোশের পর ক্রোশ ভেসে আছে বেওয়ারিশ অসংখ্য নিষ্প্রাণ দেহ,
মৃত্তিকায় অতটুকুও পাইনি বিকৃত শরীরের চাপা যন্ত্রণা।


গলিত মস্তিষ্ক আর পরিত্যক্ত হাঁড়ের স্তুপ ঘেসে ধ্বনিত হচ্ছে ভাষা,
মহাকাল প্রকম্পিঁত বারুদ মাখা প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ক্রমশই প্রসারিত হয়।


উচ্চারিত যত বাক্য হতে—
অজস্র অগণিত তীক্ষ্ণ বর্শার ফলা ফুঁড়লো হৃৎযন্ত্রে আচমকা,
মেরুদন্ড বেয়ে নামছে গলগল করে কালচে রক্ত স্রোতের ঢেউ নিমিষেই।


অতঃপর, স্বচক্ষে ইতিহাস খুলে চিত্রপট দর্শন একের পরে এক অবিরাম,
তদপর, এই মৃতদের জোয়ার অবধারিতভাবেই মিলে গেলো ইতিহাস খচিত শব্দাক্ষরের সাথে।


বিচ্ছিন্ন এই নির্জনতা কালের পর কাল ধরে সংরক্ষিত করছে আমাই,
আর নিষ্প্রাণ ঐ অবরুদ্ধ কথামালার লিখনীতে স্পন্দন যুগিয়ে চলেছি আমি।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
2014·Mar·06
সমুদ্র সৈকত, লাবণী, কলাতলী, কক্ִসবাজার।
07·00·pm