বিপন্ন অশ্রু দ্বারে শুনি,
বিনম্র পথিকের করুণ হাহাকার।
ঢেউ এসে ঠাঁই স্তব্ধ হয়েছে,
হৃৎ যন্ত্রের আকৃতিহীন মোহনার কুল ঘেষে।
নূনতা হাওয়ায় নেই নীলচে দৃষ্টি,
যা বিবর্ণতায় বিদীর্ণ হয়ে বিচ্ছিন্নতায়  মুমূর্ষ।
পরিশেষে সমস্ত আলাপন ঘরে ফেরে,
কোন এক অজানা নিঃসঙ্গতায় ভর করে।
অতীত সব আলাপন থেকে প্রবাহিত হয়,
জমাট বদ্ধ রক্তপিন্ডের থান।
সেভাবে ফাগুনের সমস্ত সন্ধ্যা ডুবে যাবে,
কালের বিবর্তনে সময় অসময়ের স্রোতের ভাঁজে ভাঁজে।
বিরাতের বিনিদ্র বাসনার সে ডাহুকটাও নিশ্চিহ্ন হবে,
মুছে যাবে যত প্রিয় সব গীতের মনোরঞ্জন সুরগুলোও।
আমার গভীর নিঃশব্দ রাত্রিগুলো ঠিকই আসবে,
প্রকৃতির পরিক্রমায় বসন্তও আসবে ফাগুনের হাত ধরে।
কেবল অবন্তী'র নিদারুণ মোহে প্রজ্জ্বলিত,
শ্রাবণী সন্ধ্যাগুলো ফিরবেনা আর ।