সম্ভ্রান্ত তমসাপূর্ণ রাত্রিকে জিজ্ঞাস করেছিলাম,
মানব রচিত প্রেমের সুষম উপাদান কি?
প্রত্যুত্তরে বিরাত আমায় বলেছিলো, নিগূঢ় এক কামনার প্রদীপ্তমান নিরেট সূত্র।
সেই থেকে মানবীর প্রেমে হুল ফুঁটিয়ে গেছি বহুবার,
কিন্তু প্রচ্ছন্ন তিক্ততা ছাড়া আমি আর কিছুই অনুভব করিনি কখনো।
যখন নগরীর বর্ত্মায় নেমে আসে বেঘুরো যামিনী,
তখন শত ব্যস্ত পথিক খুঁজে ফেরে জীবনের সমূহ আস্বাদন।
হয়ত তারা বা অনেকেই পেয়েছে সেই স্বাদ,
কিন্তু প্রচ্ছন্ন তিক্ততা ছাড়া আমি আর কিছুই অনুভব করিনি কখনো।
অসংখ্য বিরাতের মধ্য সময়ে হাহাকার মিশে যায় ক্রমশই,
অনন্ত কোন বেদনার মহা সমুদ্রে মিলে যায় মননের লক্ষ্য।
তবুও আমি অনবরত হন্য ছিলাম অন্বেষণে,
প্রেয়সীর অস্পর্শী যত ছোঁয়ার অতৃপ্ত ভালোবাসা।
কিন্তু প্রচ্ছন্ন তিক্ততা ছাড়া আমি আর কিছুই অনুভব করিনি কখনো।
ধরণীর নিকষ কোন পরিণতিতে হয়ত এ ক্ষণ এসেছে আমাতে,
আমি তাই হতাশ নয়, অখোশ নয়, নয় কোন বেদনার্ত তবুও।
আমি সব ছুড়ে ফেলে চেয়েছি বারংবার,
গভীর কোন তিমিরকে সজ্জীত করতে নির্মোহ প্রেমের আবেশে।
আমার অন্তিম বাসনা ছিলো খুব করে অধ্যয়ন করতে,
প্রিয়তমার অক্ষিদ্বয় কোন সোনালী অপরাহ্ন থেকে নির্মল প্রভাত অবধি।
কিন্তু প্রচ্ছন্ন তিক্ততা ছাড়া আমি আর কিছুই অনুভব করিনি কখনো।
সে রূঢ় তিক্ততার মাঝেই যদি আমার সম্রাজ্য প্রশান্তি লাভ করে,
তবে তাই হোক এই চেতনার মোহনায়।
নিত্যই তবে গণস্রোতে প্লাবিত হোক,
না পাওয়ার অতৃপ্ত বিষাদী আস্তরণের সুখে।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
রাঊজান, চট্টগ্রাম।
2014·May·14_02·33·am