সুপ্তাদ্রী
রজনীর অতল গহীনেও যদি স্পর্শ না পাও তন্দ্রার,
তবে বিনিদ্র ভরা দু'অক্ষিই অচল দ্বারে এসে দাঁড়িও।
নিষ্পাপ যে প্রত্যাশাগুলোকে কারণহীনে প্রত্যাখান করেছিলে,
সেগুলোর অবুঝ আত্মার  ক্ষত চিহ্নে নিঃসঙ্গতা দিয়ে দিও তোমার।
বিষণ্ণতায় উপচে পড়া জন্ম দিয়েছো এখন যে হৃদয়টি,
সে বিষাদ লুটে নিতেই এসেছিলো প্রত্যাশাগুলো শতাব্দি কাল আগে।
আমি ঐ গূঢ় সুত্রগুলো বিরাতের বক্ষ চিড়ে চিড়ে বিশ্লেষণ করি,
আর অবশিষ্ট মোহগুলিকে স্বয়ং জ্যান্ত সমাধিতে সমাহিত করি।


সুপ্তাদ্রী
তুমি অতৃপ্ত হৃৎপিন্ড নিয়ে প্রহরি থাকিও,
আমি আসবো তোমায় ছোঁয়া দিতে সেই অকাল মৃত চাহনীতে।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…


2014·Jan·01_11·50·রাত্রি।