নিশ্চিহ্ন রাতের গল্প বলে বলে তুমি বহুবার হারিয়েছো,
অঁচলহীন কোন দিগন্তে তোমার গন্তব্য আঁকা ছিলো, দেখেছি।


নৈঃশব্দের দীর্ঘ চিত্রপটে সারি সারি অবেলার সুর,
অস্পর্শে যা বিকল হয়ে আছে শতাব্দি থেকে শতাব্দি।


জানো অবণী,
আমার এখনও তিমির আসে বিস্মৃতির বহরযোগে,
আজও সেই জীর্ণ জানলার শীর্ণ ফ্রেমে বিরাতের ডাহুক ডেকে ডেকে যায়।


শৃঙ্খল চূর্ণ উৎফুল্ল কিছু মোহ অবিরাম আসে যায়,
ভেঙ্গে যায় ক্রমশই যাতনার নিরেট ফলার তীব্র কারাগার।


তাই সহস্র  কামনার অপ্রষ্ফুটিত অজস্র প্রত্যাশা বিনিদ্র রয়,
অতৃপ্তের বারুদে নিদারুণ ধ্বংস হয় তন্দ্রার রাজস্থান।


পরিশেষে কালের নিশ্ছিদ্র পালাবদলে ধ্বংসযজ্ঞ উঠে আসে,
যুগ থেকে যুগান্তর পেরিয়ে সেগুলো হয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।


অতঃপর চিত্তের মোহনায় গড়ে তুলি সযত্নে যাদুঘর।
যেখানটায় প্রযত্নে সাঁজানো থাকে,
অবণী'র হারিয়ে যাওয়া অগণন স্মৃতিক্ষণ।


যাদুঘরের মুখ্য ফটকের একটি নিদর্শনে খচিত আছে,
রু এর অন্য নাম অবণী।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
হোটেল ব্যা টাচ, সুগন্ধ্যা পয়েন্ট, কলাতলী, কক্ִসবাজার।
2014.Feb.14_02.20 রাত্রি।