বেখেয়ালি রণতরী ছুটে চলে,
অন্তিম কোন গন্তব্য পানে।
সম্মুখে দাঁড়ায় পরিযায়ী
উৎসুক চাহনীর ছলছল দৃষ্টিতে,
প্রশ্ন, পাড়ি কোন গন্তব্যে?
নিশ্চুপ সে তরী বয়ে চলে অবিরাম,
এই মধ্য ধরণীর উপকুলে।
অসীম সিন্ধুর অকুলে,
আচমকা ঘোষণা আসে প্রশ্নের।
সেথায় অজ্ঞাত যাত্রা আমার,
যেথায় নিষ্পাপতা আজও অমলিন।
যেথায় পৃথিবী আজও অস্পর্শী।
যেথায় বিষাদ আজও বিলুপ্ত।
পরিশেষে সুদীর্ঘ যাত্রা রূপ নেয়,
দিন থেকে মাস পেরিয়ে বছর অবধি।
চূড়ান্ত লগ্নে নোঙর ফেলে রণতরী,
কোন প্রভাত পুষ্পে মুড়ানো
চির সবুজময় নির্মল উদ্যানে।
তবে থেকেই সেখানেই যাপন,
সেখানেই অনন্ত বসবাস আমার।
আজও বিরাত ছুঁয়ে দেখি
জ্যোৎস্নার অতল পরতে পরতে,
একটি চিত্তের কি নিদারুণ পরিণতি।
যে চিত্ত এখনো খুঁজে যায়,
পুড়ে যাওয়া সেই ফেলে আসা বিস্মৃতি।
যে বিস্মৃতিই আজও স্পষ্ট ধ্রুব,
হৃদয় সীমায় টগবগে চিরজ্যান্ত।
সে বিস্মৃতির মোহ অক্ষিপাত হয়,
চেতনার অতৃপ্ত মোহনার  রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
সে নির্বাক জীবন আবদ্ধ চিরকাল,
পরিপূর্ণ বেদনার নীল কারাগারে।
তাইতো ক্ষয়ে যাওয়া মাস্তুল ধরে
ফেলে আসা সহস্র সভ্যতার ক্ষণ ছুড়ে,
নীরবে নিস্তব্ধে নির্জন প্রান্তরে
এই উদ্যানে বসতী পরিযায়ীর।
▪     ▪     ▪


রচনাকাল…
লাইট হাউস, কক্ִসবাজার।
2014·Jun·09_03·00·রাত্রি।