হঠাৎ একদিন সর্বপরি তোমার অনন্য রূপশ্রী আত্মা এসে  বলবে আমায়_
- আচ্ছা নীল,
কতটা ভালোবাসো আমায় তুমি?
-- আমি দৃঢ় কন্ঠে প্রতিউত্তরে বলবো,
'জীবন' ঠিক যতটা ভালোবাসে 'নিঃশ্বাস'কে।
তোমার আত্মা তখন লজ্জায় লাল হবে, আর আমায় বলবে_
-- বলোতো, আর কতটা ভালোবাসি আমি তোমায়?
- আমি অভয়ের ধ্বনিত করবো,
ঠিক যতাটা ভালোবাসে 'চাঁদ' তার 'জ্যোৎস্না'কে।
দিগন্ত রাঙানো হাসিতে তুমি অদৃশ্য হবে আচমকা ঐ দূর গগণে।
আর আমি  নক্ষত্ররাজী হয়ে তোমায় খুঁজতে বেরোবো।
অতঃপর লুকোচুরির এক পর্যায়ে তুমি ধরা দিবে আমার নিদারুণ শুভ্র স্নিগ্ধ আলোতে।
আকাশ ছোঁয়া মিলনের সন্ধিক্ষণে নিরেট প্রেমের আহ্ববানে,
শয় শয় নীরদপুঞ্জী আসবে তখন আমাদের শীতল অভ্যার্থনা আর উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাতে।
চূড়ান্ত লগ্নে নীরদপুঞ্জীর মৌরালারা নিজেদের বিলীন করে আমাদের উপহার দেবে অবিরাম এক বৃষ্টিধারা।
আর আমরা খুব করে বৃষ্টি দেখবো,
দুয়েক ফোঁটা ছুঁবোও।
সেই বৃষ্টির নাম কি দিবো জানো?
সে বৃষ্টির নাম হবে 'জ্যোৎস্নাময়ী বৃষ্টি'।


রচনাকাল -
সিলভার শাইন, হলিডে মোড়, কক্ִসবাজার।
2014·Aug·08_11·00·রজনী।