একরাত শহরের সমস্ত কুয়াশা এসে বললো আমাদের সমস্বরে;
উষ্ক শুষ্ক চৌ-ঠোঁটের তীরে কূলে গড়ে তুলতে আবাসস্থল।
কার্তিকের সেই সমগ্র রাত্রি জুড়ে আমরা বানিয়েছিলাম;
সুষম নিরাপদ আশ্রয়স্থল দু'জোড়া অধরের সুপ্ত বাঁকে বাঁকে।
অবিরাম কামনানত সে নির্বাক রজনীর কথাগুচ্ছ গাঁথা আছে;
আমাদের অনুর্বর হৃৎপিন্ডের দ্বিধাশ্রীত কল্পলোকের সম্রাজ্যে আজও।
বোধহয় জন্মের পর থেকে সেবারই এতটা ছিলাম আমরা নিষ্পাপ আর তৃষ্ণার্ত;
উভয়ের দৃষ্টিতে ক্রমান্বয়ে চিত্রিত হচ্ছিলো তখন কামনার লোলোভ ট্রেনের অন্তহীন প্রতীক্ষা।


সহবস্থানের একমাত্র জানলা খুলে দেখি তীব্র ধূমিকা স্থির;
নৈসর্গিক যত মহীরূহগুলো ছুটছে তাদের বিটপীকে নিয়ে নিজ নিজ প্রণয়ের ইতিহাসে।
নক্ষত্রমণ্ডলী যেন হয়ে আসছিলো একেকটি টিমটিমে ঘোর লাগা কুপিচেরাগ;
আমাদের জোড়া দেহে ততক্ষণে লেপ্টে গেছে শিশিরের মোহময়ী উষ্ণতার কয়েক প্রলেপ।
চূড়ান্তে ক্রমশই আমাদের নিউরণে জড়ো হয় বিনিম্র আগমণে;
ধরণীর সমস্ত কুয়াশার নিরুত্তাপ প্রেমের উষ্ণতা আর কুচি কুচি পাথরের তুষারখন্ড।
তারপর দুজনার নিদারুণ হাসিতে পৃথীবি হয়ে উঠে এক রোমাঞ্চের নিটোল চাঁদর;
আর আমাদের বুকে মুখে চোখে গুনগুন করে গুঞ্জরণ হচ্ছিলো দিশা পাওয়া সদ্য একদল নীরদপুঞ্জীর বহর।


অত্যুষ্ণ নিঃশ্বাসের অগণণ সৃষ্টিতে মিলে যাচ্ছিলো সময় বিরাত থেকে প্রভাতে আবার প্রভাত থেকে ভোরে;
অতঃপর সমষ্টির বিভোর করা সে সুখের মহা উল্লাসে সে নিশি মিশে যায়, শুভ্রতার স্নিগ্ধ এক সকালে।
সেভাবেই আমরা দুজন শিশির মাখানো দেহে স্বর্গীয় ওই উদ্যানে হয়ে উঠি দুজন দুজনার অবিচ্ছেদ্য গল্পের বর্ণীল পান্ডুলিপি।


রচনাকাল -
সার্কিট হাউজ, কক্ִসবাজার।
2014·Oct·27_02·10·রজনী।