প্রতীক্ষার দীর্ঘ এক কবিতাখোর রাত্রি পরে;
তুমি সম্মুখ এসে দাঁড়ালে লজ্জাবতী হয়ে।
লালাভ মেহেদি পরা হস্তাঙুলে চিত্রিত আছে স্বয়ং;
আমার বিগত কবিতাখোর রাত্রির যত অমলিন স্পর্শ ছাপ।
কাব্যিকতার সে এক অব্যক্ত মোহের রাত্রিযাপন দু'জনার;
কি নিদারুন সাহিত্যের অনলে ভিজেছি আনমনায় নিস্তব্ধে।
তোমার আঁচল হতে হুবুহু সেই মাতাল করা ঘ্রাণ;
যে ঘ্রাণ টইটুম্বুর থাকে মুকুলিত পুষ্পকুঞ্জে।
সেকি শব্দে শব্দে মিলনের উচ্ছ্বাসি টানাপোড়ন;
আর পংক্তি থেকে লাইনের এক জমজমাট মহোৎসব।
সে রাত্রির প্রেম ঔরষে সদ্য জন্ম নেওয়া ঐ;
নিমলিত কবিতার নবজাতকরা দ্যাখো, প্রলম্বিত হয়েছে বহু।
আর ইতিহাসের প্রেম পত্রে তারা মুদ্রাক্ষরিত করে গ্যাছে;
এক নিটোল প্রেমের অবিস্মরণীয় ভালোবাসার স্বাক্ষর এঁকে।


প্রণয়িনী আমি নিত্যই দ্যাখি ঐ─
তোমার বিনম্র চাহনীতে সদ্য ধাবমান অজস্র প্রেম;
যা আমায় খুঁচিয়ে আলিঙ্গন করে এই বেলা অবেলায় ।
এই নিঃসঙ্গ রাত্রির বিবর্ণ সুর ধরে তুমি ফের চলে এসো;
কোন প্রতীক্ষিত গগণের নীরব দ্বারে রিনিঝিনি পায়েল হয়ে।
আমার বিনিদ্রের প্রতিক্ষণ পূর্ণ করো অবিচ্ছিন্নতায়;
বহুল প্রত্যাশার নিবিড় সমষ্টির উত্তপ্ত অভিপ্রায়ে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2014.Nov.01_01.05 রজনী।