বন্দরের প্রতিটি নিস্তব্ধ ল্যাম্পোষ্টেই মিশে আছে,
তোমার সরব অস্তিত্বের নিটোল অবস্থান খুব করে।
নগরীর সমগ্র বর্ত্মায় আল্পনা এঁকে গেছে তোমার স্বমহিমায়,
যত বিস্মৃতির বিস্তৃত ধূসর রঙের বিবর্ণ তুলিগুলো।
তুমি যতটা নিঃশব্দে নীরব নির্জনে সমাদৃত হও না কেনো,
বিরাতের নিকষ তমসার ভাঁজ ছিড়ে বেরিয়ে আসবেই তোমার শ্বাস প্রশ্বাসের উষ্ণ প্রতিধ্বনি।
বালিকা, অদূরে যতই নিঠুর প্রতিচ্ছবি দেখাওনা কেনো তোমার,
এই হৃদয়তটে ঠিকই প্রতিপাদ্য আছো অক্ষত ভীষম এক চিত্রাঙ্কনে তুমি।
শহরের সমস্ত নিভৃত উপাদান থেকে কুড়াও তবে একান্তে,
এই পথিকের বেঘুরো যামিনীর নিরুত্তাপ মোহপুঞ্জীর বহর।
যবে যাতনার এই দীর্ঘ মহাকাল নিষ্প্রাণ হবে অকুণ্ঠ যাত্রায়,
তবে সুনিশ্চিত থেকো আমি আসবো তোমার উন্মুক্ত দ্বারে।
তুমি ভীষণ এক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলে আমাতে প্রকান্ড,
চিরন্তন সদা অবমুক্ত রাখবে সে হৃদয়ও জানলার সুদৃঢ় পথ।
বিকল স্মৃতি বক্ষে উপস্থিত হয়ে বলবো নির্দ্বিধায় সেদিন,
প্রেয়সী, দ্যাখো গোলক প্রান্ত চিড়ে এসেছি এই পরিযায়ী।
তুমি আচমকা হারাবে ফেলে আসা যত দগ্ধিত মহাকালের স্রোতে,
আর অক্ষির সুষম কোণে জমা করবে কয়েক ফোঁটা নীরবাশ্রু।
যখন বক্ষ হতে এক এক করে মৃত স্বপ্নের কামনাগুলো উঠে আসবে,
তখন অপার এক মহিমায় জড়াবো তোমাতে দিগন্তের সমস্ত সুখ নিয়ে।
পরিশেষে আমাদের পূর্ণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে জ্যামিতিক হারে,
আর সৃষ্টি হবে নব এক বসুন্ধরা দু চিত্তের মোহনার সবুজ উদ্যান প্রান্তরে।
প্রেয়সী,
একদা সেভাবেই আমাদের বিলুপ্ত প্রেম ফিরে আসবে অনন্ত হয়ে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
14.Nov.04_01.40.রজনী।