যদি অনিবার্য সে মৃত্যুই আলিঙ্গন করে ফেলি,
কোন শান্ত নিস্তব্ধ সোনালী অপরাহ্নে।
তবে সব জল মুছে অনুনয়ে আমায় ক্ষমা করিও,
টলমল  চিত্তের বেদনা যত মুছে বিদায়ী পরম্পরায়।
নিশ্চিহ্নের পথ ধরে যখন সবিনয়ে ফিরে যাবো,
তখন আমার আপন গন্তব্যে বরণের মহা আয়োজন প্রতিষ্ঠা হবে।
ইতিহাসের বক্ষ হতে ক্রমান্বয়ে যদিও সব গভীরে উপনীত হবে,
তবুও অনন্ত চাহনীয় পরিশুদ্ধ  করিও আমায়।
নিশ্ছিদ্রতায় যুগ থেকে যুগ অবধি জানি শায়িত হবো,
মৃত্তিকায় গড়ে তুলে সেই নিরেট নীরবতা আচ্ছন্ন গৃহে।
পরিশিষ্ট সমাচারে বলে দিয়ে যায় তব এই ধরণীতে,
হন্য ছিলাম কবেই বা কবে তবুও যাচ্ছি চলে আদি গন্তব্যে।


রচনাকাল -
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।
2013·Dec·13_10·00·রজনী।